ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সেই আওয়মী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দায়িত্বরত পুলিশের ওপর পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র উদ্ধার ও বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় পণ্য মজুদ করার দায়ে ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের ছেলে মজনু মাতুব্বরকে রোববার (৫ এপ্রিল) ভোররাতে পাশ্ববর্তী সালথা উপজেলার খাড়দিয়া এলাকা থেকে আটক করে।
এর আগে শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক দীপংকর স্যানাল বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে, রোববার (৫ এপ্রিল) বিশেষ ক্ষমতা আইনে অবৈধভাবে খাদ্য দ্রব্য মজুদ রাখা এবং সরকারি কাজে বাধাদান ও দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার দায়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ২টি পৃথক মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজারে শনিবার দুপুরে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ নেতা ও ময়েনদিয়া বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন : দোকান বন্ধ করতে বলায় পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৮
ওইদিন বিকেলে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো. আলিমুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ময়েনদিয়া বাজার ও মান্নান মাতুব্বরের বাড়ি অভিযান চালায়। এ সময় ওই নেতার বাড়ি থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝোটন চন্দের উপস্থিতিতে ২টি রামদা, ১টি ছুরি, ৫টি বর্শা, ২০টি সড়কি, ৫টি ফলা ও ২০টি ঢালসহ বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। একই সঙ্গে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ উদ্ভূত পরিস্থিতিকে পুঁজি করে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় মজুদকৃত ৫ লক্ষাধিক টাকার ১ লাখ শলাকা সিগারেটও জব্দ করা হয়।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ময়েনদিয়ার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।