যশোরে পুলিশের শারীরিক মারধরে ইমরান হোসেন নামে এক কলেজছাত্রের দুটি কিডনি নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইমরান।
নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র ইমরান হোসেন জানান, গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি সলুয়া বাজার এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার সাথে একই এলাকার অপর একটি ছেলে ছিল। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সাজিয়ালি ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা তাদের পথরোধ করে। এরপর, সাথে থাকা ছেলেটির ব্যাগ তল্লাশি শুরু করে।
এ সময় ভয়ে সে দৌঁড় দিলে পুলিশ ধাওয়া করে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে একটি ফার্মেসিতে তার জ্ঞান ফেরে। এ সময়, পুলিশ তার পকেটে গাঁজা দিয়ে আটকের কথা বলে। পরে ইমরানের বাবাকে ফোন দিয়ে তাকে ছাড়াতে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে, ৬ হাজার টাকা নিয়ে তারা ইমরানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ সময়, পুলিশ ইমরানকে মারপিটের ঘটনা কাউকে বললে রিমান্ডে নিয়ে ফের মারপিটের হুমকি দেয়। তিনদিন পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ইমরানের চিকিৎসক ডা. উবায়দুল কাদির উজ্জ্বল বলেন, ‘ইমরানের দুটি কিডনির ফাংশন খুবই খারাপ। স্বাভাবিক অবস্থায় কিডনির ক্রিটেনিন ১ দশমিক ৪ থাকার কথা। কিন্তু ইমরানের তা ছিল ৮ দশমিক ৮। আজ এটা আরও বেড়েছে। দ্রুত তার ডায়ালিসিস শুরু করতে হবে এবং আজই সেটা করা হবে। তবে বলা যাচ্ছে না, সে রিকভারি করবে কি না। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।’
এ বিষয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন। ওই কলেজ শিক্ষার্থী কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত কি না সে বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আর পুলিশের কেউ এ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।