আগামী ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার ছুটি নিয়ে উদ্ভট আদেশ জারি করেছে রাজধানীর পল্টনের লিটল জুয়েলস নার্সারি ইনফ্যান্ট অ্যান্ড জুনিয়র স্কুল। ৩০ জানুয়ারি শুধু স্কুলের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সরস্বতী পূজার ছুটি দেয়া হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, আদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষর্থীদের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
২৬ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি থেকে জারি করা ইংরেজি আদেশটির অর্থ দাঁড়ায়, ‘সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির অমুসলিম শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অপশনাল ছুটি। ধন্যবাদ।’ তবে, প্রতিষ্ঠানটির মুসলিম শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পূজার ছুটির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
এ আদেশটি সমালোচিত হয়েছে লিটল জুয়েলস নার্সারি ইনফ্যান্ট অ্যান্ড জুনিয়র স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহলে। উদ্ভট আদেশটি দৈনিক শিক্ষাডটকমের নজরে এনে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সরস্বতী পূজার ছুটির বিষয়টি এরই মধ্যে অনেক আলোচিত হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে বর্তমান সরকার। কিন্তু পূজার ছুটি নিয়ে জারি করা স্কুলের উদ্ভট আদেশটি সে লক্ষ্যের অন্তরায়। ৩০ জানুয়ারি স্কুলের অমুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য অপশনাল ছুটি ঘোষণা করা হলেও সেদিন মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছুটির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অন্যান্য স্কুলের সব শিক্ষার্থীদের সরস্বতী পূজার ছুটি দেয়া হয়েছে। এ ধরনের আদেশ জারি করে স্কুলটি শিশুদের কোমল মনে কষ্ট দেয়া হয়েছে।
এর আগেও বেশি দামে বই কিনতে বাধ্য করায় সমালোচিত হয়েছে রাজধানীর পল্টনের লিটল জুয়েলস নার্সারি ইনফ্যান্ট অ্যান্ড জুনিয়র স্কুল। স্কুলের সামনের সায়মন্স লাইব্রেরি থেকে বেশি দামে বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বলেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেছেন, সায়মন্স লাইব্রেরিতে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে তালিকাভুক্ত বইগুলো। নার্সারি শ্রেণিতে মোট ৯টি বই কিনতে হয়েছে। ওই লাইব্রেরিতে এসব বইয়ের দাম রাখা হয়েছে এক হাজার ৬৫০ টাকা। আর রাজধানীর নীলক্ষেতে এসব বই-ই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮৭৩ টাকায়।