২৭১টি কলেজ একযোগে সরকারি করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সশ্রদ্ধ সালাম, বিন¤্র শ্রদ্ধা, আন্তরিক অভিবাদন ও গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আত্তীকরণ বিধিমালা/২০১৮ তে বেসরকারি কলেজের ৫০ শতাংশ অভিজ্ঞতা কাউন্ট করা কথা বলা হয়েছে শুধু পেনশনের ক্ষেত্রে, প্রমোশনের ক্ষেত্রে নয়। তাছাড়া অন্য কলেজ থেকে আগত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অন্য কলেজের অভিজ্ঞতা কাউন্ট করার কোন ব্যবস্থাই রাখা হয়নি।
এ কারণে অনেক শিক্ষকই হতাশায় ভুগছেন। অর্থাৎ যে কলেজে এসে সরকারি হয়েছেন, সে কলেজের অভিজ্ঞতাই শুধু ৫০ শতাংশ কাউন্ট করার কথা বলা হয়েছে। এতে যারা অন্য কলেজ থেকে এসে বর্তমান কলেজে সরকারি হয়েছেন, তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন। কারণ আগের কলেজের কোন অভিজ্ঞতাই কাউন্ট করার ব্যবস্থা আত্তীকরণ বিধিমালায় নাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদারতার পরিচয় দিয়ে কলেজ সরকারিকরণের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে কোনো বাধা হিসেবে রাখেননি। তাছাড়া সকলকে স্বপদে ও সম স্কেলে বহাল রেখেছেন। সে সঙ্গে বেসরকারি কলেজের অভিজ্ঞতা শুধু পেনশনের ক্ষেত্রে নয়, প্রমোশনের ক্ষেত্রেও কাউন্ট করার এবং অন্য কলেজ থেকে আসা শিক্ষকদের পূর্বের কলেজের অভিজ্ঞতাও কাউন্ট করার ব্যবস্থা করার জন্য তাঁর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ রয়েছে। সরকারিকরণ হওয়া অধিকাংশ কলেজেই প্রমোশন পাওয়ার মত অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক আছেন। তাদের মধ্য থেকে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে প্রমোশনের ব্যবস্থা সেই সাথে অধ্যাপকদের উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ (যেসব কলেজে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ নেই) পদে নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সবিনয়ে জোর দাবি জানাচ্ছি। তাহলে একই কলেজে শুরুতেই ক্যাডার ননক্যাডার সহঅবস্থান (যেসব কলেজে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ নেই) করতেও হবে না।
কারণ তারা আমাদের পছন্দ করেন না।আশা করি, তিনি উপর্যুক্ত প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সদ্য সরকারি হওয়া কলেজগুলোকে ভূস্বর্গে পরিণত করবেন।
লেখক : অধ্যক্ষ, সরকারী ডা: জহুরুল কামাল ডিগ্রী কলেজ, দুলাই, সুজানগর, পাবনা।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়]