ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠ্যক্রম সংস্কার ও শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়অরি) রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বজুড়ে, আঞ্চলিক পর্যায়ে ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে ভবিষ্যতে শিক্ষা ও শেখানোর পদ্ধতি এবং এর পেশাদারিত্বের ধরন কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
জ্ঞানভিত্তিক সমাজে স্নাতক পরবর্তী চাকরির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাভিত্তিক উন্নয়নের সুযোগ এবং পাঠ্যক্রম উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মেলনে আলোকপাত করা হয়। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতের গুণগত মান বৃদ্ধিতে শিক্ষণ ও শেখানোর প্রক্রিয়ার ভূমিকা সম্পর্কেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট প্রায় ২০০ জন অংশীদার সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা সব পর্যায়ের শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। কিন্তু এখনও শিক্ষার গুণগত মান অর্জন করতে পারিনি, যা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার গুণগত মান অর্জনের লক্ষ্যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিটি ধাপে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। যাতে করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও ভোকেশনাল শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ৪ কোটি ৪০ লাখ শিশুর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার বড় পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সাফল্যকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে উচ্চশিক্ষার মানের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া, যেখানে শিক্ষকদের বিকাশ, উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ এবং নতুন সুযোগের সদ্ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত। এর পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বসেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ক্রসবর্ডার উচ্চশিক্ষা আইন কার্যকর করার ওপর জোর দেন।