রামপাল উপজেলার পেড়িখালী দাখিল মাদরাসায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ঝড়ে মাদরাসাটির আট কক্ষ বিশিষ্ট লম্বা ঘরটি উপড়ে গিয়ে কিছুটা দূরে পড়েছে। গত ২২ মার্চ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটিতে ১ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হতো। ঘরটি বিধ্বস্ত হওয়ায় তাদের পাঠদান প্রায় বন্ধ রয়েছে। উপজেলার মধ্যে অন্যতম এ মাদরাসাটি সকল পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ পাসসহ মেধাতালিকায়ও অবস্থান সুদৃঢ়।
মাদরাসাটির সুপার মাও. মো. বোরহান উদ্দিন জানান, সন্ধ্যার পর ঝড় হওয়ায় কোনো প্রকার হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মাদরাসাটির দু’টি টিনের ঘর অফিসসহ ১ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের জন্য ব্যবহৃত হতো। একটি ঘর সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের কোনো পাকা বা সেমি পাকা দালান না থাকায় অফিস, আইসিটি যন্ত্রপাতিসহ মাদরাসার মূল্যবান কাগজপত্র ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তিনি অতিদ্রুত ভবন নির্মাণসহ বিধ্বস্ত ঘরটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতা কামনা করেন।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল বলেন, মাদরাসাটি বিধ্বস্ত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদরাসাটির সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং পরিচলনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ মাদরাসাটি পরিদর্শন করেছেন।