আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশক কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। যে সব পরিক্ষার্থী আশানুরূপ ফলাফল পেতে ব্যর্থ হবে তাদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালনো হচ্ছে প্রচারণা। শিক্ষাবোর্ডের ভুয়া কর্মকর্তার পরিচয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করে এ প্লাস পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। ব্লাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় হলেই গা ঢাকা দেয় এই প্রতারকচক্রের সদস্যরা।[iside-ad]
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দিনগত রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিনব এই প্রতারণার অভিযোগে মো. মনিরুজ্জামান (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩১ মে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলপ্রত্যাশী পরিক্ষার্থীদের এ+ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে বিভিন্নরকম পোস্ট দিয়ে প্রমাণ করতে চায় যে তারা শিক্ষাবোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। বিভিন্ন চটকদার পোস্টের মাধ্যমে তারা উত্তরপত্র মূল্যায়ন, প্রাপ্ত নম্বর টেবুলেশন শিটে ইনপুটের বর্ননা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা কত ছাত্র-ছাত্রীর গ্রেড পরিবর্তন করে দিয়েছে বলেও ভুয়া তথ্য উল্লেখ করে।
এ ধরনের পোস্ট দেখে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীই রেজাল্ট পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্বাস করে নেয়। প্রতারকচক্রের জালে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে শিক্ষার্থীরা। যোগাযোগ শুরু হলে প্রথমতো রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য ও পরবর্তিতে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি ডিজেবল করে গা ঢাকা দেয় এই প্রতারক চক্র।
সিআইডির উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলম জানান, এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তন করে এ+ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষাবোর্ডের উত্তরপত্র মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতির মধ্যে কোনো একজন ব্যক্তি চাইলেই কারো ফলাফল পরিবর্তন করতে পারেন না।
এ ধরনের প্রতারক চক্র সম্পর্কে আপনাদের কাছে তথ্য থেকে থাকলে সিআইডিকে জানান।