নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে গড়ে ওঠা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজতে পৃথক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসকল তদন্ত কমিটি অর্থ, জমি ও বিদ্যালয়ের সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করে মঙ্গলবার থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেবে।
এর আগে গত ২৫ জুলাই বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ওই বিদ্যালয়ের নামে জমি দখল, নিয়োগ বাণিজ্য ও রেজুলেশন জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জেলা পরিষদ প্রকল্পের পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে তৈরি করা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ঘরটি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এক সদস্য বিশিষ্ট করে এসিল্যান্ড নানজীন সুলতানাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর্থিক ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়টি তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের অডিট কমিটি করা হয়েছে। আর বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এক সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদারকে।
এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব খান ঠাকুর ও তৎকালীন সভাপতি আবদুল হান্নান রতনের কাছে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, জমি দখলের অভিযোগকারী পৌরশহরের মাইলোড়া এলাকার শিল্পী আক্তার নামের ওই নারী তার দাবিকৃত জায়গায় স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।