পাবনা ঈশ্বরদী শহরের পূর্ব নুরমহল্লা বস্তিপাড়ায় গরুর গোবরের দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মুক্তা খাতুন নামের এক কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটলেও রোববার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক ও থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী। আহত মুক্তা ওই এলাকার আবু হেলাল খানের মেয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নুরমহল্লা বস্তিপাড়ায় আহত মুক্তা খাতুনের প্রতিবেশী এনামুল হক দীর্ঘদিন ধরে গরু পালন করে আসছেন। তারা মুক্তাদের ঘরের পাশ দিয়ে নালা কেটে গরুর গোবর ও মুত্র বের করে আসছেন। গরুর গোবর ও মুত্রের দুর্গন্ধে আশেপাশে বসবাস করা অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। নালাটি বন্ধ করার জন্য প্রতিবেশী এনামুল ও তাদের ছেলেদের অনুরোধ করে আসছিল মুক্তার পরিবার। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় মুক্তা শনিবার বিকেলে তীব্র প্রতিবাদ করে।
এতে এনামুল হকের ছেলে আশিক হোসেন (২৭) ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তাকে পিটিয়ে আহত করে বুকের ওপর ইট চাপা দিয়ে রাখে। গুরুতর অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে মুক্তাকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মুক্তার অবস্থা আশংকাজনক বলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর আসলে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিবেশিদের পক্ষ থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হকসহ তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। দোষী আশিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলা দায়েরের জন্য আহত কলেজছাত্রী মুক্তার অভিভাবকদের থানায় ডাকা হয়েছে।