বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ। শুরুর পর থেকেই দলকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে গেছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান।
সৌম্য-তামিমের বিধ্বংসী শুরু; সাকিব-মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটি আর শেষে মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকের ব্যাটে চড়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ।
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। লুঙ্গি এনগিডি এবং কাগিসো রাবাদাকে দিয়ে বোলিং ওপেন করান ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনকেই বেদম প্রহারের শিকার হতে হয়েছে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন সৌম্য সরকার। এরপর দ্রুতই রানের চাকা সচল করেন এই তরুণ ওপেনার। বিধ্বংসী সৌম্যর সঙ্গে তামিমের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৭ ওভারে টাইগারদের স্কোর ৫০ স্পর্শ করে।
অল-রাউন্ডার আন্দিলে ফেলুকায়ো এসেই তুলে নেন তামিম ইকবালকে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি হয়েছিল ৬০ রানের। তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিল রানের চাকা। ফেলুকায়োর বল তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে জমা নিলে তামিমের ২৯ বলে ২ চারে ১৬ রানের ইনিংস শেষ হয়। সৌম্যর সঙ্গী হন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
১২ ওভারের মধ্যে চার বোলার ব্যবহার করে ফেলেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। যার একটিই কারণ- সৌম্য সরকারের রুদ্ররূপ। ক্রিস মরিসের একটি শর্ট বলে মিস টাইমিং করে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ৩০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৪২ রান করা সৌম্য। দুই ওপেনারকে হারানোর ধাক্কা সামলে দেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। ক্রিস মরিসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫৪ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। অন্যদিকে ফেলুকায়োকে বাউন্ডারি মেরে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে মুশফিক খেলেছেন ৫২ বল।
মাত্র ৩২ ওভারেই দুইশ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর। ১৪২ রানের রেকর্ড জুটি অবশেষে ভাঙে সাকিবের বিদায়ে। ৮৪ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ৭৫ রান করে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে যান। মুশফিকের সঙ্গী হয়ে মোহাম্মদ মিঠুনও হাত খুলে মারতে থাকেন। তবে ২১ বলে ২১ রান করে তিনি ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকার হন।
সাকিবের পর সেঞ্চুরি হয়নি মুশফিকেরও। তার ৮০ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৭৮ রানের ইনিংসটি থামে ফেলুকায়োর বলে ভেন ডার ডাসেনের তালুবন্দি হয়ে। উইকেটে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিনশ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে মরিসের শিকার কহন ২০ বলে ২৬ রান করা মোসাদ্দেক।