রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে খাদেমুল হাসান দীপু নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার মিঠাপুকুর উপজেলার রূপসী উচ্চ বিদ্যালয়ে। দীপু রুপসী নাপিতপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের সন্তান। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্কুল চলাকালে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খাদেমুল হাসান দীপু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তার সহপাঠীরা পাশের টিউবয়েল থেকে পানি এনে মাথায় ঢালতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুমকে ডেকে আনা হয়। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার সময় জানান দীপুকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য রংপুরে পাঠানো দরকার। এর মধ্যে দীপু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এর আগে দীপু অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল হককে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি তা কানে তোলেননি। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের ওপর রাগান্বিত হন। উল্টো তিনি ওই ছাত্রদের বলেন তোমরাই দীপুকে হাসপাতালে নিয়ে যাও।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডেকে আনা হয়। তাৎক্ষণিকাবে অভিভাবককে খবর দেয়া হয়। এ অবস্থায় সে মারা যায়।'
ওই ছাত্রের বাবা দেলোয়ার হোসেন চাকরির সুবাদে বর্তমানে চট্রগ্রামে রয়েছেন। এ কারণে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়তো ওই ছাত্রকে বাঁচানো যেত। মূলত তার অবহেলা আর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে দীপু মারা গেছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। চট্রগ্রাম থেকে বাবার আসার অপেক্ষায় ওই ছাত্রের লাশ বর্তমানে রূপসী নাপিতপাড়ায় নেয়া হয়েছে।