মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রশংসাপত্র উত্তোলনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পাস করে। এ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কলেজে ভর্তির জন্য প্রশংসাপত্র নিতে গেলে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন উন্নয়নের নামে জন প্রতি ৪০০ টাকা করে দিতে বাধ্য করেন। এতো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রশংসাপত্র দেয়া হবে না বলে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘এটা এমন কিছু না। উন্নয়নের জন্য এভাবে এর আগেও টাকা পয়সা নেয়া হয়েছে। সব স্কুলই নিয়ে থাকে।’
ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো রেজুলেশন করা হয় না। সব কিছু লেখাপড়া করে হয় না।’
এ ছাড়াও বিদ্যালয়ে কোনো রকম কোচিং করানোর নিয়ম না থাকলেও প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের ইন্ধনে আইন অমান্য করে প্রতিনিয়ত কোচিং বাণিজ্য চলছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
চেংগাড়া গ্রামের একজন অভিভাবক মিন্টু মিয়া দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘এলাকার মানুষ একেবারেই গরীব। এমনিতেই কলেজে ভর্তি করাতে হিমশিম খাচ্ছে। তারপর পকেট ফিসের নামে অতিরিক্ত টাকা দেয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব না।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রশংসাপত্র নিতে নামমাত্র টাকা পয়সা নেয়া হয়। তবে সেটা ৪শ’ টাকা করে নিতে পারেন না।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা বা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য এবং একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন নানা অযুহাতে প্রায়ই স্কুলে উপস্থিত থাকেন না। নিজের খেয়াল খুশিমতো বিদ্যালয়ের খাতাপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। স্কুলের হিসাব-নিকাশ তিনি কাউকে দেন না।