নগরীর শহীদ জিয়াউর রহমান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ছয়জন অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান স্বাক্ষরিত একটি আইনি নোটিসে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির কত টাকা উত্তোলন ও প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল প্রধান শিক্ষকের কাছে। কিন্তু তিনি নোটিসের জবাব দেননি।
সূত্র জানায়, ওই প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকাসহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা কৌশলে আত্মসাত্ করে আসছেন। এরমধ্যে ২০১৬-১৭ সালের সপ্তম শ্রেণির উপবৃত্তির সাত হাজার দুইশত এবং অষ্টম শ্রেণির নয় হাজার টাকা বেনামে মোবাইল অ্যাকাউন্ট খুলে তা আত্মসাত্ করেন। একইভাবে অপরাপর ৫৩ শিক্ষার্থীর টাকাও তিনি আত্মসাত্ করেন। উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকার এমপিওবিহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা না দেওয়ায় তাদের ছেলেমেয়েরা টাকা পায়নি। অভিভাবকরা ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা, কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, উপবৃত্তির টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসেবে আসে ঠিকই। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার পক্ষের লোকজনের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত্ করেন। এ ঘটনায় গত ১৬ আগস্ট প্রধান শিক্ষকের কাছে আইনি নোটিসের মাধ্যমে অভিভাবকরা উপবৃত্তির কত টাকা উত্তোলন ও প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চান। এছাড়া নোটিস প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম নোটিসের কোন জবাব না দেওয়ায় দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
একই সঙ্গে অভিযোগের অনুলিপি দুদক চেয়ারম্যান, সচিব ও মহাপরিচালক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্যানবেইস-এর পরিচালক, বরিশাল জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক ও উপপরিচালক, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে দেওয়া হয়েছে।