বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা অফিস থেকে টাকা তুলে আত্মসাতসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানিয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। তবে, দুর্নীতির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক তরিকুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ: আউয়াল মাষ্টার ও রোকসানা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা অফিস থেকে ক্ষুদ্র মেরামতসহ বিভিন্ন কাজের ১লক্ষ ৫হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। সেই অর্থ বিদ্যালয়ের কোন কাজে ব্যবহার না করে নিজেই আত্মসাত করেছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ. আউয়াল মাস্টার ও রোকসানা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত এপ্রিল মাসের সভায় আমাদের উপস্থিতি দেখিয়ে স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেনেন্স কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ৪০ হাজার টাকা, স্লিপ বরদ্দের ৫০ হাজার টাকা, প্রাক প্রাথমিক খাতে ১০ হাজার টাকা এবং ঘুর্ণিঝড় ফণির ক্ষয়ক্ষতির জন্য ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষক।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বিদ্যালয়ের ফ্যান ও টেবিল ক্রয় করা, বিনামূল্যের বই বিতরণে অভিভাবকদের কাছ থেকে মাথাপিছু ১০০টাকা করে নেয়া ও শিক্ষার্থীদের পুরোনো বই বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বিদ্যালয়ের জন্য কোন বরাদ্দই পাইনি।
তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আয়ুব আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের জন্য প্রাপ্য সকল বরাদ্দের টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মাসুদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা স্লিপ বাবদ একটা বরাদ্দ পেয়েছি, তবে কত পেয়েছি তা দেখে বলতে পারবো।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এমন দুর্নীতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবরা।