মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনটিআরসিএর মাধ্যমে উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান ওই শিক্ষিকা। যোগদানের পর এমপিওভুক্ত করার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ তাঁর কাগজাদি ও ফাইল রেডি করেন। এতে যত টাকা খরচ লাগবে তার বিনিময়ে ওই শিক্ষিকাকে তার দেয়া অনৈতিক প্রস্তাব ও বিয়েতে রাজি হতে বলেন প্রধান শিক্ষক।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক তার রুমে ডেকে নিয়ে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও যৌন হুয়রানি করে আসছেন।
এদিকে যৌন নিপিড়নের বিচার চেয়ে ওই শিক্ষিকা কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
দৈনিক শিক্ষাকে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। অনেকদিন সহ্য করেছিলাম। বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ করেছি। এ ঘটনার সঠিক সমাধান না হলে আমি স্কুলে যাবো না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
শিক্ষিকার বাবা বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন আচরণে আমার মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছে। সপ্তাহখানেক ধরে সে স্কুলেও যাচ্ছে না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করেছেন, সে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অভিযোগটি থানায় পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’