চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজশ করে পুরনো তারিখে স্ত্রীকে নিয়োগ দেন তিনি।
নিয়মবহির্ভূতভাবে দেওয়া শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল এবং এ ঘটনায় জড়িত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি ও এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্য সদস্যরাও বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন আলীর কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, করোনাকালে জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। পাঁচ বছর পেছনের তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ২০১৪ সালে স্ত্রী উলফাত আরাকে নিয়োগ দেখিয়েছেন।
জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, ঈশিতা খাতুন, নাহিদা খাতুন, মণিকা খাতুন, ইমন আলী ও ওমর আলী জানায়, ২০১৬ সালে তারা ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত এক দিনও উলফাত আরা খাতুনকে বিদ্যালয়ে দেখেনি তারা। কোনো ক্লাস রুটিনেও তাঁর নাম ছিল না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সালে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি উলফাত আরা খাতুনকে তাঁর যোগ্যতাবলেই নিয়োগ দিয়েছে। তখন ওই পদটির অনুমোদন না থাকায় বিগত পাঁচ বছর বেতন-ভাতা পাননি তিনি। বর্তমানে পদটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় বেতন-ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।’
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান সভাপতি ইউএনও লিটন আলী বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অনিয়মের বিষয়টি শিগগিরই অধিকতর তদন্ত করে দেখা হবে।’