কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে ছাত্রীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে মেয়েদের রক্ষার লক্ষ্যে অন্য স্কুল বা মাদরাসায় নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন বলেও জানা গেছে। ওই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবি করে ২২৫ জন এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের কাছে বৃহস্পতিবার একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। অনুলিপি দেয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, করিমগঞ্জের জয়কা ইউনিয়নের আলমদীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক ওরফে আল আমিনের হাতে একাধিক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা করার জন্য অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের এই বিদ্যালয় থেকে নিয়ে গেছেন। বিদ্যালয়ের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুককে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফ উদ্দিনকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্নজনের কাছ থেকে এ রকম অভিযোগ পেয়েছেন। যৌন নিপীড়নের শিকার একজন মেয়ের সঙ্গে তিনি কথা বলে এর সত্যতাও পেয়েছেন এবং মোবাইলে মেয়ের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা করা হয়েছে। সভার রেজুলেশনে ভিকটিম ও মায়ের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে করিমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সভার পরদিন লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রশ্ন করলে জানান, অভিযোগটি হাতে পেলে তিনি এটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখবেন।