কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। কওমি মাদরাসা বোর্ডগুলোর সর্বোচ্চ এই সংস্থা আগামী রোববার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সংবর্ধনা দেবে। এতে ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতে পারে। এই টার্গেট নিয়ে সংস্থাটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় সংস্থার চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় সংবর্ধনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। ওই দিন (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর কথা রয়েছে।
গত রোববার ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক করেন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে সংবর্ধনা নিয়ে আলোচনা হয়। এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত সোমবার গণভবনে যান তাঁরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহি মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বলেন, ‘ সোমবার (২২ অক্টোবর) আমরা গণভবনে যাই। কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি শোকরিয়া মাহফিল। এই অনুষ্ঠানে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন তা আগামী শনিবার আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
মাওলানা রুহি বলেন, ‘সারা দেশ থেকে ওলামায়ে কেরামরা ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় আসবেন। আমাদের টার্গেট ১০ লক্ষাধিক লোক সমাগমের। এই লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’
জানা যায়, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আশরাফ আলী, মুফতি জসিম, মাওলানা আবদুল হালিদ, পীর সাহেব মধুপুরী, মাওলানা সাজেদুর রহমান বি-বাড়িয়া প্রমুখ।
কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর সংস্থার চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের হাটহাজারী বড় মাদরাসায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য ১৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।
এদিকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আগামী ৪ নভেম্বর সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার এই সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়।