নওগাঁর পত্নীতলায় জেএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সরকারি নীতিমালার বাইরে বিদ্যালয় ভেদে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ হতে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। বাড়তি টাকা আদায় করায় বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও অভিভাবকরা। উপায় না দেখে বিদ্যালয়ের দাবিকৃত অতিরিক্ত অর্থ দিয়েই প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেছে পরীক্ষার্থীরা। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২ নভেম্বর হতে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার শুরু হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের ফি’র নামে পৌরশহরের নজিপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষার্থী প্রতি ১৫০ টাকা, পুইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ২৫০ টাকা, নজিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৫০ টাকা, পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয় ৩০০ টাকা, মধইল উচ্চ বিদ্যালয় ২০০ টাকা করে আদায় করেছে। প্রবেশপত্রের ফি আদায়ে বোর্ডের কোনো নির্দেশনা না থাকলেও এভাবে বিদ্যালয়গুলো ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করছে। কিন্তু এসব অর্থ আদায়ে ছাত্রছাত্রীদের কোনো রশিদ প্রদান করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নজিপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক রবিউল ইসলাম বলেন, ফর্ম পূরণের সময়ই স্কুলের যাবতীয় ফি দেয়া হয়েছে। এখন প্রবেশপত্রের জন্য নতুন করে আবার ১৫০ টাকা দিয়ে হয়েছে। এটা হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীরা জানান, তারা প্রত্যেকেই ২০০ টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেছে।
নজিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থী ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের প্রবেশপত্রের জন্য ৩০০ টাকা এবং বিশেষ ক্লাসের জন্য ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, বোর্ড থেকে কেন্দ্র ফি বাবদ যে টাকা পাওয়া গেছে তা দিয়ে কেন্দ্র খরচ হয় না। বাড়তি খরচ মেটানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা নেয়া হয়েছে।