ভোলার চরফ্যাশনের বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের পদার্থবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক ইকবাল কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাষক আলাউদ্দিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের তদন্তে এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের তদন্তে জানা গেছে, ওই কলেজের পদার্থবিদ্যা বিষয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ইকবাল কাদের চৌধুরী পঞ্চম শিক্ষক নিবন্ধন তালিকায় ২০০৯-রোল নম্বর ৪০৩১০৩৩৩ ও রেজি. নং-৯০০০৮৮২৪ ধারণ করে পদার্থবিদ্যা বিষয়ে উত্তীর্ণ সনদ দেখিয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই রোল নম্বর ধারণ করা অর্থনীতি বিষয়ে উত্তীর্ণ ব্যক্তির নাম মোসা. রুমি বেগম। সুতরাং প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. ইকবাল কাদের চৌধুরীর দাখিলকৃত শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। মূলত ইকবাল কাদের চৌধুরী অর্থনীতি বিষয়ের উত্তীর্ণ মোসা. রুমি বেগমের সনদের রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সৃজন করে কলেজে নিয়োগকালে দাখিল করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত ৬ জুলাই বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ১২৬৪ নং স্মারকে ইস্যুকৃত পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রভাষক ইকবাল কাদের চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া কলেজ ও তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।