চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এবং ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কর্মচারী জসিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের গাড়িচালক (মাস্টার রোল)।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর কর্মচারী সমিতির প্যাডে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হেলাল উদ্দীনকে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবিও জানানো হয় ওই অভিযোগে। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর এ ঘটনার সুবিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ভুক্তভোগী নিজেই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ‘গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে আনার জন্য নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেনু কুমারকে গাড়িতে তুলি। এরপর ড. হেলাল উদ্দীনকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এর মধ্যে গাড়িতে ওঠা আরো দুজন শিক্ষকের মধ্যে একজন জানান ড. হেলাল পাঁচলাইশ থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। পরে ওই স্থান থেকে তাকে তুলতে গেলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মুখে, কানে, নাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় আমার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে এ অবস্থায় ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষকদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিলাম আমি।’
অন্যদিকে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চবি কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রে ড. হেলাল উদ্দীনকে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হেলাল উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ বলেন, ‘দুই পক্ষকে ডেকে উপাচার্য বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।’
তবে সমাধানের বিষয়টি অস্বীকার করে কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সমিতির কার্যকরী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আমাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে জানিয়েছি। আমরা আমাদের দাবিতে অটল। দাবি না মানা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের নিয়ে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’