প্রযুক্তি শিক্ষায় কোথায় গলদ? - দৈনিকশিক্ষা

প্রযুক্তি শিক্ষায় কোথায় গলদ?

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

বাংলাদেশ যেমন সম্ভাবনার দেশ ঠিক তেমনি সম্ভাবনাময় এদেশের তরুণ-তরুণীরা। শুধু শিক্ষাব্যবস্থার কিছু পরিবর্তন এবং শিক্ষার্থীদের ভোকেশনাল কোর্সের সুযোগ করে দিলে তারা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পাড়বে। আর আমাদের নতুন প্রজন্মের উন্নতি মানেই দেশের সার্বিক উন্নতি সংঘটিত হওয়া। এর জন্য প্রয়োজন চেষ্টা এবং সুপরিকল্পিত শিক্ষাব্যবস্থার। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়, বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা কোনো আইটিনির্ভর বিষয়ে লেখাপড়া করছে। কারণ তাদের অনেকেরই লক্ষ্য থাকে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার্থে যাওয়া। দেশের বাইরে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে দেশের বাইরে বসবাস করাও অনেকের ইচ্ছা থাকে। এখানেও রয়েছে বিপত্তি। অনেক দেশেই শিক্ষাগত কারণে যেতে হলে বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী হতে হয়। যেমন ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরিমাপ করা হয় আইইএলটিএস পরীক্ষার মাধ্যমে। এই পরীক্ষায় নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে পারলেই শিক্ষার্থীগণ দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারে। ঠিক তেমনি চাকরি ক্ষেত্রে দেশের বাইরে আবেদন করতে চাইলেও এই পরীক্ষার প্রয়োজন পরে। তবে কিছু দেশে চাকরি ক্ষেত্রে ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন।

যেমন জাপান বা চীনে চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই জাপানি ভাষা বা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হতে হয়। এইসব ভাষার দক্ষতা পরিমাপ করার জন্যও রয়েছে পরীক্ষার ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট ভাষাগত লেভেল অর্জন করার পরেই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয়, আমাদের দেশের খুব কম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন কোর্সের ব্যবস্থা থাকে। যার ফলে যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও অনেকেই জাপান, কোরিয়া বা চীনের মতো দেশে চাকরি করার সুযোগ হারায়। আর এ কারণেই উন্নত বিশ্বের উচ্চ শিক্ষার তুলনায় বাংলাদেশে সেই তুলনায় সুযোগ্য শিক্ষকও বাড়ছে না, না শিক্ষার্থীগণ আশানুরূপ শিক্ষা লাভ করে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারছে।

দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে তাই প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা নিতে হচ্ছে। হোক মেট্রোরেল বা যমুনা সেতু বা পদ্মা সেতু, সব ক্ষেত্রেই উন্নত বিশ্বের দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে অত্যন্ত বেশি বিনিয়োগ করে। কোটি কোটি অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ দেশের মেধাকে উপযুক্ত উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিলে এই বিনিয়োগ অনেক গুণ কমে যেত, এবং দেশের অর্থ দেশেই থেকে যেত। যেসব মেধা দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যথাযথ উচ্চশিক্ষা লাভে সক্ষম হয়, তারা দেশের বাইরেই থেকে যায় উন্নত মানের জীবন যাপন করার লক্ষ্যে। এই যে দেশের মেধা দেশে ফিরছে না তার একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের অভাব থাকা।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর কথা বলতে গেলে বেশ কিছু দেশের নাম সামনে চলে আসে। এর মধ্যে আছে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরাইল, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আরো অনেক দেশের নাম। কেন এই দেশগুলো এত উন্নত তা একটু ভাবলেই সবার আগে তাদের প্রযুক্তির কথাই মনে পড়বে। জাপানের কথাই ধরি, জাপানের বিশেষজ্ঞদের উন্নত মানের গবেষণা তাদের প্রযুক্তিতে অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে। বিভিন্নও খাতে জাপান উন্নতি সাধন করেছে যেমন অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিকস, মেশিনারি, অপটিকস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটিকস এবং আরো নানা ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে। ১৯৫৮ সাল থেকেই জাপানে নিম্নমাধ্যমিক লেভেলেই প্রযুক্তি শিক্ষারব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তিমূলক প্রযুক্তিশিক্ষাকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়।

নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্দেশ্যই ছিল শিক্ষার্থীদের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিকে হাতে কলমে শেখা এবং বাস্তবিক অর্থেই আধুনিক মেশিন তৈরি এবং চালনা করার মাধ্যমে জীবন ও প্রযুক্তির মাঝের সম্পর্ক বোঝা এবং আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতি সাধন করা যাতে দৈনন্দিন জীবনের মান বৃদ্ধি পায়। শুধু স্কুল এ নয়, অভিজ্ঞ শিক্ষক গড়তে তিন বছর মেয়াদি প্রযুক্তি শিক্ষা প্রশিক্ষণ নেবার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এমনকি তাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় একজন পাঠক্রম বিশেষজ্ঞকে যুক্তরাজ্যে প্রেরণ করা হয় প্রযুক্তি শিক্ষার বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে।

পরবর্তী সময়ে বৃত্তিমূলক কোর্সের সঙ্গে সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্নও কর্মকাণ্ডেরও ব্যবস্থা করা হয়, যাতে শিল্প খাতে শিক্ষার্থীগণ তাদের জ্ঞানের যথাযথ ব্যবহার করতে পারে। তারা আরো উল্লেখ করেছেন যে, পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে কম্পিউটার শিক্ষা কোর্সের প্রচলন করা হয়। আবার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আছে ‘mechatronics’ কোর্স যা কিনা ‘mechanics’ এবং ‘electronics’-এর সমন্বয়ে গঠিত। এভাবেই দিনের পর দিন জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার লাভ করেছে। তাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শুধু পুথিগত জ্ঞান নয়, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই যন্ত্র তৈরি থেকে শুরু করে, চালনা এবং নানা সমস্যা সমাধানের কাজও করে থাকে। এরাই ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। জাপান যে প্রযুক্তিতে এত উন্নতি লাভ করেছে তার উল্লেখযোগ্য প্রধান কারণই হচ্ছে তাদের শিক্ষাব্যবস্থা।

প্রায় সব ইউনিভার্সিটিতেই কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আরো নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে, যা আইটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। দীর্ঘ চার বছরের ডিগ্রি অর্জন করে যখন এসব শিক্ষার্থী কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছে, তাদের অনেকের অদক্ষতার জন্য উপযুক্ত চাকরি হচ্ছে না আর যদি চাকরি হয়েও যায় তারা তাদের পুথিগত বিদ্যাকে বাস্তবিক জীবনে কাজে লাগাতে পারছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাকরিদাতাদের অভিযোগ থাকে যে তারা দক্ষ কর্মী পাচ্ছে না। ঠিক তেমনি এই সব সদ্য ডিগ্রি প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীও কর্মক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের আলাদা করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে চাকরিদাতাদের। এবার আসা যাক কর্মসংস্থানের বিষয়ে।

প্রতি বছর যতসংখ্যক শিক্ষার্থী ডিগ্রি লাভ করছে, ততসংখ্যক উপযুক্ত চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না। একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আইটি কোম্পানিতে চাকরি না করে চাকরি করছে একটি স্বল্প বেতনের কল সেন্টারে। এর কারণ হচ্ছে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকা। কেউ কেউ আইটি ক্ষেত্রে লেখাপড়া করেও বিভিন্ন সরকারি চাকুরি , ব্যাংক বা নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। অনেককেই দেখা যায় যে হয়তো কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হচ্ছে কিন্তু ভবিষ্যত্ চাকরিজীবনের কথা চিন্তা করে পরবর্তী সময়ে তাদের লেখাপড়ার সাবজেক্ট পরিবর্তন করে হয়তো বিবিএতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে কারণ এই বিষয়ে লেখাপড়া করলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি মনে করছে তারা। খুব কম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের পুথিগত শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগের কোনো শিক্ষা দেওয়া হয়। যেহেতু শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে না, তার কারণেই শিক্ষার্থীরা যথাযথ জ্ঞান লাভ করতে পারছে না এবং অদক্ষ কর্মী হয়ে উঠছে। যার কারণে তারা দেশের উন্নতিতে আশানুরূপ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।

জাপানের মতোই আমরাও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রযুক্তিনির্ভর বৃত্তিমূলক কোর্সের ব্যবস্থা করতে পারি, যাতে শিক্ষার্থীগণ খুব সহজেই প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। শুধু পুথিগত বিদ্যা নয়, থাকতে হবে বাস্তবিক প্রয়োগ। এই সব কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যাতে সহজেই প্রযুক্তিশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা উচিত। যে বিষয়েই ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি নেওয়া হোক না কেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে যেন এসব কোর্সের মাধ্যমে প্রযুক্তিশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পাশ করার পরেই কোনো চাকুরি পেতে পারে বা নিজেই আয়ের উত্স নিজেই তৈরি করতে পারে। এখন প্রতিনিয়ত অসংখ্য শিক্ষার্থী কম্পিউটার সায়েন্স বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা আরো বিভিন্ন ও প্রযুক্তিনির্ভর বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করছে কিন্তু ডিগ্রি নিলেও তাদের সঙ্গে সঙ্গেই চাকরি হয়ে যাচ্ছে না। বেশ কিছু সময় তার বেকার থাকছে। যা পুরো জাতির অর্থনীতির জন্য একটি বোঝাস্বরূপ। অথচ কিছু বাস্তবিক প্রশিক্ষণ থাকলে খুব বেশি দিন চাকরি ছাড়া থাকার প্রয়োজন পড়ে না। ইউনিভার্সিটিগুলোতে অনেক কোর্সই বিদ্যমান আছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারে কিন্তু, হাতে-কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা কোনোটাতেই নেই।

হাতে-কলমে শিক্ষারব্যবস্থা থাকলে আমরাও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কারে ভূমিকা রাখতে পারব। তারাও বিভিন্ন মেশিন আবিষ্কার ও পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কোর্স বিদ্যমান এর মাঝে কিছু কোর্সের নাম হচ্ছে কম্পিউটার স্পেশালিস্ট, ওয়েব ডেভেলপার, অটোমেশন কন্ট্রোল, মেডিক্যাল ট্র্যান্সক্রিপশন, অরাগানাইজেশনাল স্কিল, মেশিনিস্ট ইত্যাদি। এছাড়াও ভাষাগত জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্নও বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানিজ, স্প্যানিশ, রাশিয়ান, ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি ভাষা শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানের টেস্টের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যাতে শিক্ষার্থীগণ খুব সহজেই দেশের বাইরে শিক্ষা বা চাকরি লাভের জন্য যেতে পারে। এছাড়াও বেকারত্ব দূর করতে ২৮টি হাইটেক পার্কের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংযুক্তির ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে ডিগ্রি লাভের পর তরুণ-তরুণীরা সহজেই চাকরি লাভ করতে পারে।

লেখক :  প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0086128711700439