দেশের জ্ঞানচর্চা প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্ঞানবিচ্ছিন্ন আচরণ খুব কষ্ট দেয়। এটি খুব আনন্দের যে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে দেশ এগোচ্ছে। এর পেছনে বড় কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নিরলস কর্মতৎপরতা; দৃঢ়তার সঙ্গে নীতিনির্ধারণ এবং বাস্তবায়নচেষ্টা।
এরপরও আমি অনেক লেখায় বলার চেষ্টা করেছি, শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চাকে পৃষ্ঠপোষকতা না করা হলে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা এক সময় এর গতি হারাবে। রাজনৈতিক ভুবনে বাহবা পেয়ে স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক অর্জন হয়তো সম্ভব হতে পারে; তবে তা দীর্ঘদিনের জন্য ধারণ করা (sustainable) কঠিন হয়ে পড়বে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, এ গুরুত্বপূর্ণ দিকটির দিকে হয়তো নীতিনির্ধারকরা তেমনভাবে নজর দিচ্ছেন না। বর্তমানে স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সরকারি নীতিমালা এবং ইতিহাসবোধে দুর্বল ক্ষমতাবান বিজ্ঞজনদের নীতিনির্ধারণের ভূমিকা দেখে তেমনই মনে হয়।
প্রাসঙ্গিক আলোচনায় নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভিড় করছে, তবে আজকের বক্তব্যের সূত্রটি ৮ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট।
রিপোর্টে জানলাম, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগটি বন্ধ করে দিতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ২০১৭ সাল থেকে চলা ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্লাসরুমে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদ করছে।
দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ে ইউজিসি নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে প্রায়ই সমর্থ হয় না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝেমধ্যেই ভিসিবিরোধী আন্দোলন হয়। কখনও সেসব আন্দোলনের ভিত্তি থাকে; কখনও থাকে না। কোনো গোষ্ঠী স্বার্থরক্ষা করার জন্য টানাহেঁচড়া করতে থাকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ইউজিসিকে তেমন সক্রিয় হতে কখনও দেখা যায়নি। দায় যা আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। অবশ্য ইউজিসির ক্ষমতার পরিধি কী এবং দায়িত্ব কতটুকু, সে সম্পর্কে আমার ধারণা খুব স্পষ্ট নয়। এখন সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আমার জানা মতে, কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে বিষয়টি পড়ানো হয় না। আর যেখানে পড়ানো হয়, সেখানে অনেক ক্ষেত্রে যথাযোগ্য শিক্ষকের বদলে যেসব বিভাগের শিক্ষকদের পড়ানোর কথা নয়, তারাই পড়িয়ে দায় সারছেন।
এসব কারণে একবার ইউজিসি সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্দেশ দেয়, শুধু ইতিহাসের শিক্ষকরাই বিষয়টি পড়াবেন। কিন্তু ইউজিসির প্রজ্ঞাপনকে থোড়াই কেয়ার করছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইউজিসি বাধ্য করাতে পারছে না।
ঠিক একইভাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির অনুমোদন না নিয়েই অনেক বিভাগ খুলে ফেলে। ইউজিসি পরে অনুমোদন দিয়ে দেয়। যেখানে ভিসি মহোদয়দের দাপট বেশি, সেখানে দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যায়।
এভাবেই ২০১৭ সালে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ খোলা হয়েছিল। তিন বছর ধরে ছাত্র ভর্তি হচ্ছে। প্রথম ব্যাচ তৃতীয় বর্ষে উঠে গেছে। এ অবস্থায় ইউজিসি জানাচ্ছে, বিভাগ খোলার অনুমোদন দেয়া হবে না।
ছেলেখেলা করে সোয়া চারশ’ শিক্ষার্থী, তাদের পরিবার ও শিক্ষকদের অথৈ সমুদ্রে ফেলে দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে আর নতুন ভর্তি করা যাবে না। চলমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসমাপনী শেষে ইতিহাস বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেবে।
আমার বোধোদয় হচ্ছে না, বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ও জ্ঞানচর্চার আঙ্গিনায় অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ধ্রুপদী বিষয় ইতিহাস পঠনপাঠন বন্ধ করতে চাচ্ছে কেন ইউজিসি! সরকার কি এখন ধ্রুপদী শিক্ষার সংকোচন প্রকল্প হাতে নিয়েছে!
যদি অনুমোদন দেয়ার পরিকল্পনা নাই থাকত তাহলে সূচনায় তা থামিয়ে দেয়া হল না কেন? নাকি এতদিন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চেয়ারে ছিলেন বলে তাকে ঘাঁটাতে চায়নি ইউজিসি।
আজ নিয়মিত ভিসিহীন বিশ্ববিদ্যালয় বলে কি এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হল? হতাশায় নিমজ্জিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের কী হবে?
অনুমতি ছাড়া বিভাগ খোলা অপরাধ হলে শুরুতেই ছাত্র ভর্তি বন্ধ করে দেয়া যেত। আর এমন অপরাধ প্রায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই করেছে। পরে ইউজিসি অনুমোদন দিয়েছে। গোপালগঞ্জের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হবে কেন! নাকি মনে হচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়াটা মানাচ্ছে না।
আমার মনে হয় না ইউজিসির প্রজ্ঞাবান পরিচালকরা এমন যুক্তিহীন আচরণ করবেন। আমার জানামতে, উন্নত বিশ্বে বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস এবং নিজ দেশের ইতিহাস পড়াটা সবার জন্য আবশ্যিক। চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা থেকে শুরু করে সমাজবিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা সবার পাঠ্য বিষয় ইতিহাস।
যেখানে দেশের অন্য অধিকাংশ বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ার সুযোগ নেই; তেমন বাস্তবতায় যখন ইতিহাস বিভাগ খোলা জরুরি, সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর ধরে চলমান ইতিহাস বিভাগকে পূর্বানুমতি না নেয়ার অপরাধে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে হেতু কী, তা অনেককে ভাবাবে।
স্বাধীন দেশে এভাবেই কি শিক্ষার্থীদের অহেতুক আন্দোলনের জন্য পথে নামাতে বাধ্য করবে উচ্চশিক্ষার দেখভাল করা প্রতিষ্ঠানগুলো!
কেউ কেউ বলছেন, এটি গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ইউজিসির বিমাতাসুলভ আচরণ। কারণ অনেক আগেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিভাগকে অনুমোদন দেয়ার জন্য ইউজিসির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে; কিন্তু একে আমলে নেয়া হয়নি।
অথচ একটু নাম এদিক-সেদিক করে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ অনুমোদন পেয়েছে। যেমন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ‘ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ’ নামে বিভাগ, বরিশাল এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগটির নাম ‘ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা।’
আমি ইউজিসির দায়িত্বে থাকা বিদগ্ধজনদের সবিনয়ে বলব, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আপনারা তো ছায়াবৃক্ষ। আপনারাই যদি ছাতা সরিয়ে নেন, তবে আমলাদের দোষারোপ করে কী লাভ!
বড় বড় তদবিরের জন্য অপেক্ষা না করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা আইন-আদালতের পথে ঠেলে না দিয়ে অনুমোদন না নেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অন্যায় ক্ষমা করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে, ইতিহাস পঠনপাঠনকে জরুরি বিবেচনা করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগটির অনুমোদন দেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।
একই সঙ্গে অনুরোধ থাকবে, শুধু অর্থ বরাদ্দকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আটকে না থেকে জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ইতিহাস ও সাহিত্যের মতো মানবিক বিষয়ের পাঠ সংযুক্ত করে শিক্ষার্থীদের যান্ত্রিক না বানিয়ে মানবিক করে তুলতে সাহায্য করবে।
অন্যদিক থেকেও যদি বলি, এ ধারার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা বিজ্ঞানীদের প্রায়োগিক জীবনেও কি এসব বিদ্যার ভূমিকা নেই? আমি একবার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক বন্ধুদের অনুরোধে তাদের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়টি পড়াতে গিয়েছিলাম।
প্রথম দিন ক্লাসে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটি উসখুস ভাব লক্ষ করলাম। বুঝতে পারলাম, ওদের মধ্যে একটি মনস্তাত্ত্বিক সংকট দেখা দিয়েছে। ওরা ভাবছে আমরা স্থপতি হব। ডিজাইন, প্ল্যান, স্ট্রাকচার নিয়ে ভাবব। ইতিহাস পড়ার মতো এমন ঝামেলা চাপানো কেন! আমি ওদের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা করলাম।
বললাম ধরো, তোমরা স্থপতি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েছ। নিজেরা ফার্ম খুলে বসেছ। হঠাৎ একজন ক্লায়েন্ট এলেন। বিদেশে থেকে বিশাল অর্থশালী হয়েছেন। তার স্বপ্ন গ্রামে তিন একর জায়গায় একটি মসজিদ বানাবেন। ১০ কোটি টাকা বাজেট তার।
তার ইচ্ছের কথা জানালেন যে, এ মসজিদে আধুনিক স্থাপত্যচিন্তার সঙ্গে সংমিশ্রণ থাকবে স্বাধীন সুলতানি বাংলার মসজিদ স্থাপত্য এবং মোগল ও ঔপনিবেশিক মসজিদ স্থাপত্যের শৈলী। তখন তোমার যদি বাংলার বিভিন্ন পর্বের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও স্থাপত্যকলার বিবর্তনের কথা জানা না থাকে তাহলে ক্লায়েন্ট হারাতে হবে তোমাকে।
সুতরাং মনে রাখতে হবে, তোমার মৌলিক বিদ্যার পরিপূরক হিসেবে ইতিহাসচর্চা-বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না। আমি দেখেছি, এ দেশের কারিকুলামের সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থী তার বিদ্যার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে পারে না।
যখন বলি, প্রাচীন গ্রিসে সভ্যতা গড়ে ওঠারও আগে ইজিয়ান দ্বীপ ক্রিটে গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। এমিনোয়ান সভ্যতায় পাওয়া ‘লিনিয়ার বি’ লিপিতে লেখা তথ্য আমাদের বিস্মিত করেছে। খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে এখানে সমুদ্রবাণিজ্য চলত। আর তার সমুদয় বাণিজ্যিক হিসাব লিখে রাখা হতো।
আদি স্থাপত্যকলার প্রযুক্তি, রসায়ন, গণিত ইত্যাকার জ্ঞানের উৎস বুঝতে প্রচীন মিসরীয়দের জ্ঞানের কাছেই তো পৌঁছতে হবে। পিরামিড, মমি এসব তো এখনও প্রামাণ্য হয়ে আছে। সভ্যতার ইতিহাসচর্চা ছাড়া এ সত্য উন্মোচিত হবে কেমন করে! নগর পরিকল্পনাবিদরা এখন হিমশিম খাচ্ছেন অপরিকল্পিত ঢাকা নগরী নিয়ে।
অথচ বিস্ময়ের সঙ্গে দেখি, আড়াই-তিন হাজার বছর আগে প্রচীন ভারতের হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো নগরী কতটা পরিকল্পিত ছিল। গলি থেকে প্রধান সড়ক সবকিছুর প্রশস্ততা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়কবাড়ি, পানি সরবরাহ সবই যেন ছিল ছককাটা। বিশ্বসভ্যতার এ পাঠটি পথনির্দেশনা দিতে পারে আজকের নগর পরিকল্পনাবিদদের।
যুগ যুগ ধরে বিবেচনা করা হয়েছে যে, ইতিহাস হচ্ছে জীবন্ত জাতির পরিচায়ক। আর অমন একটি জীবন্ত বিদ্যাকে সামান্য কিছু নিয়মকানুনের ফাঁদে ফেলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গন থেকে উপড়ে ফেলা যে কোনো সচেতন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
নিয়ম তো মানুষের কল্যাণেই মানুষ তৈরি করে। গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ম না মেনে ইতিহাস বিভাগ চালু করে যদি অপরাধ করে থাকেন, তবে সময়মতো অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শুরুর আগেই তা বন্ধ না করে ইউজিসিও যে সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি- এ কথা সবাই বলবে।
তাই নিয়ম তরক করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধায়কদের প্রতি অসময়ে ক্ষুব্ধ না হয়ে এবং শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ও শিক্ষার ধারা সমুন্নত রাখার স্বার্থে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগটিকে বৈধতা দিয়ে ইউজিসির প্রাজ্ঞ পরিচালকরা তাদের মহান দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা আশা করি। কারণ ইউজিসি পরিচালনায় শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরাই থাকেন। আর শিক্ষক তো সাধারণত শিক্ষার্থীবান্ধবই হন।
লেখক: ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়