সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত চক্রের সাত সদস্যকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের আসামিরা হলো জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা সোহেল রানা, সদস্য মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম ও দেবাশীষ এবং পরীক্ষার্থী রবিউল আউয়াল, রাজিউর রহমান ও রেজাউল করিম।
ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে গত শুক্রবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী, মিরপুর ও কলাবাগান এলাকা থেকে এ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের সদস্যদের ১-২ জন সদস্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়। তারা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে থাকা সহযোগীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে পরীক্ষার্থীদের কানে বিশেষ ইলেকট্রনিক ডিভাইস লাগানো থাকে আগে থেকেই। প্রশ্ন পাওয়ার পর বাইরে থেকে মোবাইল ফোনে প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া হয়।
তা ডিভাইসের মাধ্যমে শুনে পরীক্ষা দেয় পরীক্ষার্থীরা।
এভাবে জালিয়াতি করে পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে চক্রটি। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায়ও তারা এভাবে প্রশ্ন ফাঁস করে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান রোববার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।