বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে সরকারের ব্যর্থতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সদস্যরা। তারা প্রশ্ন ফাঁস, ভর্তি-বাণিজ্য ও নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা এবং বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইনের ১৪ ধারা বাতিলের দাবিও জানান টিআইবির সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে টিআইবির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদস্যদের বার্ষিক সভায় এসব দাবি জানানো হয়। সভায় সদস্যরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণকে অধিকতর সম্পৃক্ত করে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে এক ঘোষণাপত্রে দুর্নীতিকে সর্বান্তকরণে ঘৃণা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দুর্নীতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় নিজ অবস্থান অনুযায়ী এক ও সমষ্টিগতভাবে দুর্নীতিকে প্রতিরোধের চেষ্টাসহ
৯ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এবং সদস্য এম হাফিজউদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। টিআইবির সাধারণ পর্ষদে সদস্যদের প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মোট ৪৬ সদস্য অংশ নেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।