যশোর অঞ্চলে ডিভাইসের মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র কেন্দ্রের মধ্যে সরবরাহ এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব কাজ করে আসছিল।
আটক প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য মেহেদী হাসান ফিরোজ মণিরামপুর উপজেলার জগীপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। আর আনিসুর যশোর শহরের খড়কী এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে। এছাড়া চক্রের অপর সদস্য সৌরভকে নড়াইল থানা পুলিশ আটক করেছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তরপত্র সরবরাহের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আজিজুর রহমান নামে একজন একটি মামলা করেন। এই মামলার ভিত্তিতে মেহেদী ও আনিসুরকে আটক করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমিরুজ্জামান।
মামলাটির এজাহারসূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের মোশারফ গাজীর মেয়ে পারভীনা খাতুন ওরফে লাকীকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কেন্দ্রের মধ্যে ডিভাইসের মাধ্যম সঠিক উত্তর প্রদানের আশ্বাস দিয়ে মেহেদি হাসান ফিরোজ ও আনিসুর রহমান ৮০ হাজার টাকা নেয়। গত ২০ এপ্রিল লাকী অভিযুক্তদের এই টাকা দেন। আর ২৯ জুন তিনি যশোর এমএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার আগেও মেহেদী তাকে পরীক্ষার হলে সব প্রশ্নের উত্তর সরবরাহের আশ্বাস দেয়। তবে কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে পাননি।
বিষয়টি নিয়ে লাকীর স্বজনরা মেহেদি ও আনিসুরের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ দিয়ে হয়রানির হুমকিও দেয়া হয়।
এদিকে, অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় ছাত্রনেতা ও কলেজের কতিপয় শিক্ষকের নেতৃত্বেই মেহেদী ও আনিসুর চক্রটি যশোর সরকারি এমএম কলেজে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ করার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।