সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের গ্রেফতার ছয়জনকে দুই দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী শুনানি শেষে আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলো মাসুদ আহমেদ, সাইফুল আমীন নাভিদ, আবু নাঈম, মুহাম্মদ বিন খালিদ, রাইসুল ইসলাম ও নাকিব।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের আটক করে র্যাব-১০-এর একটি দল। তাদের কাছ থেকে এক কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ১২টি চেক, মেডিকেল ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের ৯১টি প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ১৫টি ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র, পাঁচ সেট ভুয়া প্রশ্নপত্র, একটি ল্যাপটপ ও ১৬টি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের উপপদির্শক মো. সজিবুজ্জামান।
১০ দিন রিমান্ডের অনুমতি চেয়ে দাখিল করা প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে গ্রেফতারকৃতরা তাদের ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার আইডি থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে চলমান ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি ও ফাঁস, ফলাফল পরিবর্তন ও ফলাফল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের আটকের পর ওই বিষয়ে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। চক্রের অন্যদের সম্পর্কে তথ্য জেনে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানিতে তাদের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চান। বিচারক উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিদের পুলিশের হেফাজতে দেন।