১৮ অক্টোবর ডেইলি স্টার পত্রিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনোভাবে অসদুপায় অবলম্বন করলে তা কঠোরহস্তে দমন করা হবে। এ জন্য মোবাইল কোর্ট থাকবে; এ ছাড়া অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।
এটি সম্ভবত দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য। হায়রে দেশ! চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।
যারা প্রশ্নফাঁস করবে, তারা এ ধরনের বিজ্ঞাপনকে থোড়াই কেয়ার করে। এ লেখাটি লেখার সময় দেখলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। বিশ্বের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা অনুসারে বাংলাদেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়টি এগিয়ে আছে, সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে খারাপ কিছু শুনলে আমার নিজেরও খারাপ লাগে।
মনের দুঃখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত সব খবর পড়ার চেষ্টা করলাম। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা থেকে যা বুঝতে পেরেছি, তার সারসংক্ষেপ হল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ছিল সকাল ১০টায়।
পরীক্ষা শুরুর আগে ৯টা ১৭ মিনিটে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। বেলা ১১টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর যাচাই করে দেখা গেছে- সেখানে বাংলা অংশে ১৯টি, ইংরেজি অংশে ১৭টি, সাধারণ জ্ঞান অংশে ৩৬টিসহ ৭২টি প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে।
এরই ভিত্তিতে মামলা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসিকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সিআইডি ছয়জনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। একই সঙ্গে ফল স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।
পরবর্তী দিন তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করে এবং ডিজিটাল জালিয়াতির বিষয়টি তুলে ধরে। কিন্তু কী এক অদ্ভুত কারণে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, গতবারের তুলনায় এবারের পাসের হার অনেক বেশি। ৭০ হাজার ৪৪০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৩, যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। ফলাফলে আরও দেখা গেছে- প্রথম ১০০ জনের ৭০ জনই নিজস্ব ইউনিটে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এ ছাড়াও দুই ইউনিটের ফেল করা শিক্ষার্থীরাই ‘ঘ’ ইউনিটের প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে। প্রথম হয়েছে জাহিদ, যে ‘গ’ ইউনিটে ফেল করেছিল। সে বাংলায় ৩০-এর মধ্যে ৩০ এবং ইংরেজিতে ৩০-এর মধ্যে ২৭.৩ পেয়েছে। দ্বিতীয় তসলিম বিন আলম। সেও ‘ক’ ইউনিটে ফেল করেছিল।
‘ঘ’ ইউনিটের ফল বাতিলের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন আমরণ অনশন করছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল।
নিজের চোখের সামনে দেখলাম, রাজু ভাস্কর্যের নিচে ছাত্রটি অনশন করছে। তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা পরীক্ষা বাতিল অথবা পাসকৃত শিক্ষার্থীদের পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি তুলেছে। যেটুকু জানি, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার এ মুহূর্তে ছুটিতে বাংলাদেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলে কী হবে- সেটি দেখার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।
সব পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে আমার নিজস্ব একটি বিশ্লেষণ আছে। আমি ছোটখাটো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমি একটি অনুষদের ডিনের দায়িত্বে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কিছু দায়িত্বের কারণে ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম; এবারও আছি। গত বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় সৌভাগ্যবশত ডিজিটাল চক্রের দুটি অংশ ধরা পড়ে যায়। সেখান থেকে এ ডিজিটাল জালিয়াতির প্রক্রিয়াটি অনুধাবন করতে পেরেছিলাম।
এটিকে একটি শক্তিশালী শিল্প বলা যেতে পারে। এখানে অনেক কর্মী একসঙ্গে কাজ করে। তিনটি ধাপে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়- প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকরণ বা পরীক্ষার হলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা দায়িত্বরত থাকেন, তাদের যে কোনো একজন যদি জালিয়াত চক্রের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেন, তবে প্রথমে আইফোন বা অত্যাধুনিক স্মার্টফোনের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে প্রশ্নের ছবি তুলে ফেলেন। মেসেঞ্জারের মাধ্যমে সেই ছবি দ্বিতীয় গ্রুপের কর্মীদের কাছে চলে যায়। দ্বিতীয় গ্রুপ প্রশ্নগুলোর সমাধান করে। এ ক্ষেত্রে মেধাবী ছাত্রদের ভাড়া করা হয়। তারা অতি দ্রুত প্রশ্নগুলোর সমাধান করে। সমাধানকৃত উত্তর তৃতীয় গ্রুপ মোবাইলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্ল–টুথ ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রেরণ করে।
যেহেতু পরীক্ষার হলে স্মার্টফোন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ; এ কারণে স্মার্টফোনের সিমটি একটি ক্রেডিট কার্ড বা ডেভিড কার্ডের মতো ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
এ ডিভাইসটি পরীক্ষার্থীর ডান বা বাম হাতের কব্জিতে বাঁধা থাকে। ডিভাইসটি থেকে শোনার জন্য হেডফোনটি ব্ল–টুথের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।
এ ডিভাইসগুলোর কানে দেয়ার অংশটি এতই ছোট, অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাহায্যে কানে ঢুকানো ও বের করা হয়। সমাধানকৃত উত্তরপত্রটির প্রশ্ন ও উত্তর এ সংযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে বলে দেয়া হয়।
অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগেই কোডিং করা থাকে। ফোনে দ্বিতীয় গ্রুপ সেট ‘ক’ বললে সে কাশি দেবে বা অন্য ধরনের শব্দ করবে এবং না মিললে চুপ থাকবে। পরীক্ষার অনেক আগেই এ ধরনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং সিন্ডিকেটটি এ ধরনের ডিভাইসগুলো তাদের কাছে সরবরাহ করে। তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকে- তিন থেকে পাঁচ লাখ বা ততোধিক টাকার বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে। এভাবে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে বা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্র পেলেও বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে সমাধান বা উত্তর পাঠানো সম্ভব। গত ভর্তি পরীক্ষায় আমরা প্রশ্নপত্র পাঠানোর আইফোন এবং পরীক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে পারলেও যারা উত্তরপত্র সরবরাহ করেছিল, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ধৃতদের পুলিশে সোপর্দ করা হলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে গেছে কিনা, বলতে পারব না। তবে ওই সময়েই শুনেছিলাম এ জালিয়াতির সঙ্গে অনেক বড় চক্র জড়িত।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-বিশ্লেষণ করে আমার অনুমান- প্রশ্নপত্র বিভিন্ন কেন্দ্রে বিলির সময়ে তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফাঁস করা হয়। পরবর্তী সময়ে সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নগুলোর উত্তর পায়। ফলাফল থেকে দেখা যায়- প্রথম ১০০ জনের ৭০ জনই নিজ ইউনিটে উত্তীর্ণ হতে পারেনি; সুতরাং এ শিক্ষার্থীরাই ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে বলে ধারণা করা যায়।
আমাদের দেশে সবকিছু নিয়েই বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। অদ্ভুত কারণে আমরা বাংলাদেশের মানুষ কোনো না কোনো দল-উপদলে বিভক্ত। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপ এত বেশি, তা চিন্তা করা যায় না। আমি কোনো গ্রুপ করতে চাই না; কিন্তু কীভাবে জানি গ্রুপের অংশ হয়ে যাই। এক সপ্তাহ আগে এক বিখ্যাত অধ্যাপকের কাছে গেলাম। দেখলাম, আনুমানিক ৫০ শিক্ষক তার কাছে বসে আছেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্যাতিত। আমি একজন বড় অধ্যাপককে সম্মান জানাতে এসে তার গ্রুপের সদস্য হয়ে গেলাম।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ক্ষুরা রোগের টিকা আবিষ্কারের সংবাদ সম্মেলনে গেলাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে তাকে একজন প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলেন এবং বললেন ‘বাংলাদেশে এ টিকা ইতিমধ্যে আবিষ্কার হয়ে গেছে এবং ব্যবহার হচ্ছে।
ভিসি মহোদয় উত্তরে উনার টিকাটির স্বকীয়তা উল্লেখ করলেন। উভয়ের কথোপকথন দেখে বুঝতে পারলাম, তারা একজন অপরজনের বিরোধী পক্ষ। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! আমি ভিসির গ্রুপে পড়ে গেলাম।
ওই অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল স্যার উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ টিকার পক্ষে কথা বলেছেন। ফলে তিনিও আমার মতো বিজ্ঞানকে ভালোবেসে একটি পক্ষ হয়ে গেলেন।
কিছুদিন আগেও দেখলাম, কোটা নিয়ে নানা রাজনীতি। নিরাপদ সড়ক চাই- এটি নিয়েও নানা বিভক্তি। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের দায় কার ওপর বর্তায়? আমরা কি বলতে চাই- এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বহীনতা, নাকি বর্তমান সরকারকে নির্বাচন-পূর্ব চাপের মুখে ফেলার জন্য ২০ দলের আপ্রাণ চেষ্টা, নাকি এটি সরকারের একটি ব্যর্থতা?
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ‘সমকালীন পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষকতা ও স্বাধীন চিন্তার অধিকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা থেকে আসা এক শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল।
তিনি এ প্রশ্নফাঁস কাহিনীকে ভয়ংকর অ্যাখ্যা দিয়ে আখতার হোসেনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এখন আমি কী হব? আওয়ামী লীগ, ২০ দলীয় ঐক্যজোট নাকি ‘স্বাধীন চিন্তা শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে কেন্দ্র করে যে বিভক্তটি তৈরি হয়েছে, সেটিও কি লজ্জাজনক নয়? এ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা না নিয়ে বিষয়টিকে আমরা সমসাময়িক দুর্দশা বলে ভাবতে পারি কি?
প্লেটো নাকি বলেছেন, ‘মাত্র পাঁচ হাজার চল্লিশ জনের অধিক জনসংখ্যা হলে সেটি আদর্শ রাষ্ট্র হতে পারে না।’ তাহলে ১৬ কোটি মানুষ নিয়ে বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে সমস্যা থাকাটাই স্বাভাবিক।
প্রশ্নফাঁস রোধে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু সুপারিশ করছি- পরীক্ষার সময় পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের শরীর, বিশেষ করে হাতের কব্জি ও কান ভালোভাবে পরীক্ষা করা উচিত। ব্লুটুথ ডিভাইস আছে কিনা, তা শনাক্ত করার জন্য অনেক ডিভাইস রয়েছে, যা দিয়ে পরীক্ষার হলে ব্লুটুথ ডিভাইস শনাক্ত করা সম্ভব। এছাড়া যেহেতু ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়, কাজেই ‘নেটওয়ার্ক জ্যামার’ ব্যবহার করেও এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। নেটওয়ার্ক জ্যামারের ক্ষেত্র কম হওয়ায় এটিকে বড় এলাকার জন্য ব্যবহার সম্ভব হয় না। এ জন্য যখন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তখন ওই এলাকার মুঠোফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ জন্য সরকারের সহায়তা প্রয়োজন হবে।
এগুলো সবই স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা। ভবিষ্যতের জন্য অনেক পুরনো আমলের মতো লিখিত পরীক্ষা চালু করা যেতে পারে। যদিও লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষণ একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার; কিন্তু বর্তমান সমস্যা থেকে উত্তরণের এটি একটি ভালো উপায়। আপনার, আমার, সবার সন্তান আছে। আসুন, তাদের কথা ভেবে এক হই সবাই।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়