বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কনভোকেশনে বারবার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উচ্চহারের ফি হ্রাস করতে আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, অধ্যয়ন ও অন্যান্য ফি এমনভাবে ধার্য করা প্রয়োজন যাতে ধনী পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ পেতে পারে।
গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছিলেন যে, মেডিক্যাল কলেজসহ সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বেতন পাঁচগুণের বেশি বৃদ্ধি করা হবে এবং তা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কার্যকর করা হবে। বাস্তবে ঘোষণাটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বেতন খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসিক ফি মাত্র ১৬ টাকা।
স্বাধীনতার ৪৮ বছরে দেশে সকল দ্রব্য ও সেবার মূল্য বহুগুণ বেড়েছে। সম্ভবত ছাত্র আন্দোলনের আশঙ্কায় সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ানো হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গড়ে মাসিক ৩,০০০ থেকে ৯,০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকে। এই ফি কমিয়ে দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
১২০ সেন্ট্রাল বাসাবো, ঢাকা ১২১৪