বরিশালে প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং সেন্টারের সাথে যুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বরিশালের সকল স্কুলপ্রধানের কাছে কড়া নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসের পরও কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউশন অব্যাহত রাখলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হবে। ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব তথ্য জানা গেছে। নোটিসের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিভাগীয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট স্কুলের কোন কোন শিক্ষক বাড়ি ভাড়া করে কোচিং ও প্রাইভেট টিউশন শুরু করেছেন। সকলের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মেধার পূর্ণবিকাশ, সুস্থ মনন ও সৃজনশীল বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে ভবিষ্যতের সুনাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং সেন্টার নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং বিদ্যালয়ের পাঠদান অধিকতর কার্যকর ও ফলপ্রসু করার জন্য প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং বন্ধ করা আবশ্যক।
এই নীতিমালা দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে কোচিং ও প্রাইভেট টিউশনে জড়িত শিক্ষকদের এমপিও বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকের চিঠিতে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রাইভেট টিউশন ও কোচিংয়ে জড়িত শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। কয়েকদিন তাদের গতিবিধি নজরদারির পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। মানসম্মত শিক্ষাসহ কিশোর-কিশোরীদের মেধার পূর্ণবিকাশ, সুস্থ মনন ও সৃজনশীল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।