শিক্ষা অফিস, হাই স্কুল ও কলেজসহ সরকারি অফিসগুলোতে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু না করে সর্বপ্রথম এবং সার্বিকভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করার সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য অপমানজনক। বুধবার (১২ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন মাহফিজুর রহমান মামুন।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে হলে সর্বপ্রথম শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান হতাশা দূর করে তাঁদের পাঠদানে আরো আন্তরিকতা সৃষ্টি করতে হবে। আর শিক্ষকদের উত্সাহ দেওয়ার জন্য সবার আগে তাঁদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা উচিত। যেমন প্রধানশিক্ষকদের ১০ম ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডসহ সহকারী শিক্ষককে এন্ট্রিপদ ধরে সিনিয়রিটি ও বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে অন্তত পরিচালক পর্যন্ত শতভাগ পদোন্নতি প্রদান করা। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের দীর্ঘ সময়সূচি কমিয়ে সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ। তারপরে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হলে কোনো শিক্ষক সামান্যতম আপত্তি করবেন না, বরং শিক্ষকরা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে নিজেরাই ১০০% সচেষ্ট থাকবেন। কর্তৃপক্ষকে এটা বুঝতে হবে যে, শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা থাকলে যত কিছুই করা হোক না কেন কোনোদিন মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
সহকারী শিক্ষক, বোদা, পঞ্চগড়