সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারের নতুন ভবন নির্মাণ কার্যক্রম একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু কিছু এলাকায় এখনো ছাত্রছাত্রীদের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান করা হচ্ছে। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ৫ নম্বর ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দেবরামপুর জাহানারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তার একটি উদাহরণ। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে এটি জাতীয়করণ হয়। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত আধাপাকা ভবনটির চাল একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টিই হলে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয় না। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এই ভবনে শিক্ষকদের অফিস কক্ষসহ তিনটি শ্রেণিকক্ষ আছে। দেয়ালগুলোর ওপরের অংশে পলেস্তারা খসে ইট বেরিয়ে আছে। যে কোনো সময় ইট খুলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি বারান্দার পিলারগুলোর কিছু অংশ ভাঙা। তাই ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও অমূলক নয়। স্কুলের দ্বিতীয় ভবনে মাত্র দুটি কক্ষ। একটি টিনের বেড়া দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান করানো হয়। তাতে শব্দদূষণের কারণে ছাত্রছাত্রীদের পাঠে মনোযোগ নষ্ট হয়।
স্কুলে স্থায়ী কোনো সীমানা প্রাচীর নেই—পাশেই যান চলাচলের রাস্তা থাকায় স্কুলটি নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছে। এরই মধ্যে দুইবার সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্মিত বাথরুমের দেয়ালে ফাটল এবং নিচের অংশে গর্তের কারণে সেখানে সাপ চলে আসে। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই দু ভবনের মাঝের মাঠে পানি জমে। এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাবার রাস্তাও পাকা নয়। ফলে তখন হাঁটাচলায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ অবস্থায়, স্কুলের জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন ও সীমানা প্রাচীরসহ ভেতরের রাস্তা নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুশরাত রুমু : দেবরামপুর, দাগনভূঞা, ফেনী