প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ নারী শিক্ষক। একজন নারী একাধারে মা, অভিভাবক এবং স্ত্রী। সেই নারী সকালের গৃহস্থালির কাজ করে সকাল ৯টার আগে বিদ্যালয়ে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টের। তাছাড়া কোমলমতি শিশুরা দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকায় খেলাধুলা ও অন্যান্য বিনোদনের সুযোগ পায় না। খেলাধুলা না করলে মন একঘেয়ে হয়ে যায়। ফলে লেখাপড়ায় আগ্রহ আসে না। বুধবার (১ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, সমপ্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের বাত্সরিক ছুটির তালিকা ও সময়সূচি প্রকাশ করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশাটি সম্মানের হলেও পাহাড় সমান বৈষম্য বিরাজমান। বেতন বৈষম্যের যাঁতাকলে শিক্ষকরা অতি কষ্টে দিন পার করছেন।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের বাত্সরিক ছুটি আগের চেয়ে ১০ দিন বাড়িয়ে ৮৫ দিন করা হয়েছে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার অত্যন্ত খুশি। কিন্তু সময়সূচি নিয়ে কথা বলতে হয়। এক শিফটের বিদ্যালয়ে সময়সূচি ৯টা থেকে ৩টা ১৫। অথচ দুই শিফটের বিদ্যালয়ে ৯টা থেকে ৪টা করা হয়েছে; এ যেন সতীনের সংসার।
পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ে শুধু শিফট আলাদা থাকায় সময়সূচি ৪৫ মিনিট কমবেশি হয়েছে, যা কাম্য নয়। উভয় শিফটের বিদ্যালয়ে এক ও অভিন্ন সময়সূচি প্রকাশ করা উচিত। সময়সূচি ১০টা থেকে ৩টা করলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েরই মঙ্গল হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : মুন্নাফ হোসেন, সহকারী শিক্ষক, মমিনপুর, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।