প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার একই বৃত্তে - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার একই বৃত্তে

মাছুম বিল্লাহ |

প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। জেন্ডার সমতা নিশ্চিত হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি এখনও। সরকার বিষয়টিতে নজর দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে কয়েক বছর ধরে ঝরে পড়ার হার একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এখনো ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ঝরে পড়ছে বেশি। মাধ্যমিকে শিক্ষা শেষ করার আগেই ঝরে পড়ছে একটি বড় অংশ। এর সাথে আর একটি বিষয় লক্ষণীয়। গত কয়েক বছরের মতো এবারও অনেকটা নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যথারীতি এবারও অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও ছিল কম। কিন্তু কমছে না ফরম পূরণ করেও পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। 

অনুপস্থিত ও ঝরেপড়ার উদ্বেগজনক সংখ্যা দেশের মাধ্যমিক শিক্ষায় বড় ধরনের সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষাতেই কেন্দ্রে অনুপস্থিত থেকেছে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। ৮ পরীক্ষায় অনুপস্থিত প্রায় অর্ধলাখ। যাদের ঝরে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে, নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করলেও দুই বছরেই ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে আছে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারির জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার আগের তুলনায় কমছে এ কথা সত্য কিন্তু কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমামানের পরীক্ষা শুরু হয়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে গত দু’বছর আগে নবম শ্রেণিতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ২০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৮ জন। তাদের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শেষ পর্যন্ত ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছে। অর্থাৎ ৩ লাখ ৯২ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, নবম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনই ঝরে পড়ছে। এটি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক একটি চিত্র।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচচ মাধ্যমিক এই তিন স্তরের মধ্যে মাধ্যমিকের অবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। এই স্তরের জন্য একাধিক প্রকল্পসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে মাধ্যমিকে। আর তিন স্তরেই ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ঝরে পড়ছে বেশি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষা বিস্তার ও উন্নয়নে সরকার বৃত্তি, উপবৃত্তি, বিনা মূল্যে বই বিতরণসহ নানা সুবিধা বাড়িয়েছে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে একযোগে সরকারিকরণ করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দুই হাজার ৭৩০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষকদের চাকরির স্থায়িত্ব, অর্থিক সুবিধা এবং পেশার প্রতি মর্যাদা বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও কেন এত বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে?

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছিল ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০ দশমিক ৯ শতাংশ। অথচ ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে এই ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ১ শতাংশ। এর পর থেকে পাঁচ বছর নানা উদ্যোগের ফলে ব্যাপকভাবে ঝরে পড়া কমেছে। অথচ গত পাঁচ বছরে যেন ঝরে পড়ার হার একইবৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। মাধ্যমিকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ৩৭ দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ৩৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৪১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অথচ ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। এর পরের পাঁচ বছর ঝরে পড়ার হার দ্রুতগতিতে কমলেও পরের পাঁচ বছরে তা ঝিমিয়ে পড়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ঝরে পড়ার হার ছিল ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ২০ দশমিক ০৮ শতাংশ, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে এই স্তরেও ঝরে পড়ার হার ছিল ৪২ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মতোই পরবর্তী পাঁচ বছর ঝরে পড়ার হার ব্যাপকহারে কমলেও গত পাঁচ বছরে প্রায় একই রয়েছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে এই শিক্ষার্থীরাই পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তবে, তখন পরীক্ষার্থী ছিল ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৫ জন। সেই হিসেবে ১০ লাখ ৪৬ হাজার শিক্ষার্থীর কোনো হদিস নেই। অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে সাড়ে দশ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেছেন, “একটা পর্যায়ে এসে ঝরে পড়ার হার বেশি একটা কমে না। মূলত যারা ভালোভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারে না তারাই ঝরে পড়ে। তবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে এই ঝরে পড়ার হার কমে যাবে। এ জন্য আমরা প্রাথমিকে রিডিং, রাইটিং ও ম্যাথ অলিম্পিয়াডের ওপর জোর দিয়েছি। আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। তবে ঝরে পড়ার বড় একটি কারণ দারিদ্র্য। আর গ্রাম থেকে শহরে মাইগ্রেট করলে শিশুরা আর স্কুলে যায় না। তবে, সব স্কুলেই আমরা স্কুল ফিডিং চালু করতে যাচ্ছি যা ঝরে পড়ার হার অনেকাংশেই কমাবে।”

আগের চেয়ে মানুষ এখন অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল। দরিদ্র পরিবারও তাদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে চায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন আর সে রকম লেখাপড়া হয় না। প্রাথমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কোনোরকম উতরে যায়। সেখানে পড়ালেখার তেমন একটা চাপ না থাকায় স্কুলে যা পড়ালেখা হয় তা দিয়েই তারা শিক্ষার্থীরা পার পেয়ে যায়। এ স্তরে পরীক্ষার খাতাও হয়তো সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেন বা এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করিয়ে থাকেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওপর তাদের আস্থা অনেকটাই কম। কিন্তু এই আস্থা অর্জনের জন্য  রাষ্ট্রপরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কি ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার সেটি কিন্তু স্পষ্ট নয়।

মাধ্যমিকে বেশিরভাগ বিদ্যালয়ই এমপিওভুক্ত। কিন্তু শিক্ষকদের দক্ষতা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। এ ছাড়া দুর্বোধ্য করে রাখা হয়েছে পাঠ্য বইয়ের বিষয়বস্তু। দুর্বোধ্য সৃজনশীল নিয়ে রয়েছে ঝামেলা। এই আনন্দহীন শিক্ষায় স্কুলে শুধু পড়া দেয়া হয় আর পড়া নেয়া হয়, এছাড়া শিক্ষাদান বলতে যা বুঝায় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তার প্রমাণ হচ্ছে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্তসহ সব ধরনের শিক্ষার্থীদের কোচিং, প্রাইভেট, টিউশন, গাইড ও নোট বইয়ের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীলতা।

মাঝে মাঝে সরকার হাকডাক শুরু করে যে, নোট গাইড সব বন্ধ করা হবে অর্থাৎ তাতেই যেন সকল সমস্যার সমাধান। এমপিওভুক্ত  প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বেতন আসে রাষ্ট্রীয় খাত থেকে, তাই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের খরচ অনেকটা কম। তবে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কিনে নিতে হয় এসব টিউশন, কোচিং আর নোট গাইড থেকে। তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অবদান কতটুকু? শুধু বোর্ডের সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া তো আর তেমন কিছু নেই। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেছেন, “মেয়েদের ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে বাল্যবিয়ে ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাব। তবে সার্বিকভাবে বলতে গেলে  শিক্ষাব্যয় ও কর্মমুখী শিক্ষার অভাবে শিক্ষার্থীরা ঝরে যাচ্ছে। স্কুলে হয়তো বিনা মূল্যে সবাই বই পায় কিন্তু এর পরের খরচের কি হবে?”

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, “আমরা শিক্ষায় একটা বড় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। কারিকুলামে বড় পরিবর্তন আসছে। আমরা শিক্ষাকে জীবনমুখী করতে চাই। এজন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরেও কারিগরি শিক্ষা যুক্ত করা হচ্ছে। এতে পড়ালেখার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজ শিখতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তাদের মাধ্যমিক শিক্ষা শেষেও চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। ফলে ঝরে পড়া অনেকাংশেই কমে যাবে।” কিন্তু এটি তো দীর্ঘকালীন একটি বিষয়, সহসা এর সমাধান দেখা যাচ্ছে না।

দেশের ৯টি সাধারণসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন অথচ ফরম পূরণ করেও পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি পাঁচ হাজার ৪৪৭ জন। ৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পরীক্ষায় সারাদেশে বহিষ্কার হয়েছে ১৮ জন, কিন্তু পরীক্ষায় আসেনি পাঁচ হাজার ৫৬১ জন। ৬ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার হয় ৭৯ জন, কিন্তু অনুপস্থিত ছিল পাঁচ হাজার ৮৬৯ জন। ৯ ফ্রেব্রুয়ারি বহিস্কার হয়েছে ১৭৬জন কিন্তু অনুপস্থিত ছিল ছয় হাজার ৬০ জন।১১ ফেব্রুয়ারি অনুপস্থিত ছিল ছয় হাজার ৯৩৯ জন আর বহিষ্কার হয় ১৩৪ জন। ১২ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার হয় ২০ জন, অনুপস্থিত ছিল পাঁচ হাজার ১৭৪ জন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার হয় দুই জন, কিন্তু পরীক্ষা দিতে আসেনি চার হাজার ৫৭৩ জন। ১৫ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার হয় একজন আর অনুপস্থিত ছিল পাঁচ হাজার ১৩৩ জন। সর্বশেষ পরীক্ষাতেও ফরম পূরণ করে কেন্দ্র আসেনি পাঁচ হাজার ৪৪৭ জন, বহিষ্কার হয় ২৫ জন। যারা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না তাদের ঝরে পড়ার আশঙ্কা প্রায় শতভাগ। তবে, কেউ কেউ আগামী বছর পরীক্ষা দেবে।

অসচেতনতা, বাল্যবিয়ে, দারিদ্র্যতা, নদীভাঙ্গন আর পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা ঝরে পড়ার কারণ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। কমপক্ষে ১০০ জন পরীক্ষা দিচ্ছে এমন প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই বলেছেন, “নবম শ্রেণিতে ১০০ জন নিবন্ধন করলেও ৭০ জনের বেশি পরীক্ষায় আসছে না। সবচেয়ে ভালো মানের কিছু প্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়ার হার কিছুটা কম হলেও ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রতিষ্ঠানে এ হার উদ্বেগজনক।” একই সঙ্গে নির্বাচনী বা টেস্ট পরীক্ষায় কোনো বিষয়ে ফেল করলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে না দেয়ার একটি আদেশও ঝরে পরার হার বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে বলছেন শিক্ষকরা। ভালো ফল দেখাতে অনেক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী পরীক্ষায় সামান্য খারাপ হলেও তুলনামূলক দুর্বল শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে দিচ্ছে না, ফলে অনেকের ওই অবস্থাতেই শিক্ষাজীবন শেষ হচ্ছে। এর আসল সমাধান কী?

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011068105697632