আগে ভ্যাকেশনাল/নন-ভ্যাকেশনাল সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য সাপ্তাহিক ছুটি ছিল ১ দিন (শুক্রবার)। প্রাথমিক শিক্ষকদের সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ৭৫ দিন ছুটি থাকত। ৭৫ দিনের মধ্যে জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষকরা বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও ঐ দিনগুলো ছুটি দেখানো হয়েছে। জাতীয় দিবসগুলো (৫দিন) বাদ দিলে তখন প্রাথমিক শিক্ষকরা সাপ্তাহিক ছুটি বাদে বছরে ৭০ দিন ছুটি ভোগ করতেন। সোমবার (২৭ মে) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধ লিখেছেন মো. মাহফিজুর রহমান মামুন।
সর্বমোট বছরে তখন শিক্ষকরা ৫২+৭০=১২২ দিন ছুটি পেতেন। অন্যদিকে নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারীরা সাপ্তাহিক ছুটি ১ দিন ছাড়াও বাত্সরিক সরকারি ছুটিগুলো ভোগ করতেন। বাত্সরিক সরকারি ছুটি গড়ে ২০দিন ধরলেও নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারীরা বাত্সরিক মোট ছুটি পেতেন ৫২+২০=৭২ দিন। প্রাথমিক শিক্ষকরা তখন নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারীদের চেয়ে ৫০ দিন ছুটি বেশি ভোগ করতেন; তাই শিক্ষকদের তখন ভ্যাকেশনাল কর্মচারী হিসেবে রাখা যৌক্তিক ছিল। বর্তমানে নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারীদের জন্য সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন।
কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকদের সাপ্তাহিক ছুটি আগের মতোই ১ দিন রয়েছে। তাই বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকরা আগের মতোই ১২২ দিন বাত্সরিক ছুটি ভোগ করলেও নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারীরা বাত্সরিক ছুটি ভোগ করছেন ৫২+৫২+২০=১২৪ দিন। দুঃখজনক বিষয় যে এখন নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারীদের চেয়ে বছরে ২ দিন কম ছুটি ভোগ করলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের ভ্যাকেশনাল কর্মচারী হিসেবে গণ্য করে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করা হচ্ছে। অন্যদিকে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিটিআইগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ বর্তমানে সাপ্তাহিক ১ দিনের ছুটি ছাড়াও বাত্সরিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ৮৫ দিন ছুটি ভোগ করছেন, তারপরও তাঁরা নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারী। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকরা ভ্যাকেশনাল কর্মচারী। এটা কি বৈষম্য নয়? তাই মাননীয় গণশিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ডিজি মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন এই যে, দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষকদের নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারীর মর্যাদা প্রদান করে এই বৈষম্য দূর করা হোক।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, ভীমদামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝলঝলি, তেপুকুরিয়া, বোদা, পঞ্চগড়।