প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। একটি সংসার চালানো যে কী কঠিন তা যে চালায় সেই বোঝে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫-৬ জন শিক্ষক, যাঁরা ভিন্ন ভিন্ন পরিবার থেকে আসেন। এঁদের মনমানসিকতাও ভিন্ন। সবাইকে সামাল দিতে প্রধান শিক্ষক কম কষ্ট করেন না। অথচ সেই প্রধান শিক্ষক এখনো দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাননি। রোববার (২ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য পাওয়া যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন মুন্নাফ হোসেন।
কর্তাব্যক্তিরা আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকরা তো বলির পাঁঠা। সকাল নয়টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া, বিদ্যালয় পরিষ্কার করা, ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ তাদের করতে হয়। নয়টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত মাঝখানে বিরতি মাত্র ত্রিশ মিনিট। দুপুরের খাবার খেলে নামাজ পড়া হয় না, নামাজ পড়তে গেলে খাবারের সময় নেই। অথচ সেই সহকারী শিক্ষক হচ্ছেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। কী লজ্জা! ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষকরা সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। আদৌ কি তাদের আশা পূরণ হবে? নাকি শুভঙ্করের ফাঁকি? প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণকৃত, অথচ দপ্তরিদের চাকরি জাতীয়করণ হয় না। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আগে শিক্ষকদের মান বাড়াতে হবে। তাই সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ এই যে, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রদান করুন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক, বিদ্যালয়, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল