করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জারি করিনি।
তিনি বলেন, “আমরা যে নির্দেশনা জারি করেছি সেটা স্কুল রি-ওপিনিং প্ল্যান। যখন স্কুল পুনরায় খোলা হবে তখন কোন কোন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে স্কুল খুলবে, সেটার একটা গাইডলাইন তৈরি করেছি।”
সেই নীতিমালার আলোকে স্কুলগুলো কীভাবে খুলবে তার পরিকল্পনা সাজাতে বলা হয়েছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব আকরাম বলেন, “সেজন্য বলেছি স্কুল খোলার ১৫ দিন আগে কাজগুলো করতে হবে। এর বাইরে স্কুলে আসতে হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা দিইনি।”
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে জুন থেকে অফিস খুলতে শুরু করে। অগাস্ট থেকে পুরোদমে অফিস-আদালত চলছে। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আকরাম-আল-হোসেন বলেন, “আমরা কিন্তু সরকারি কর্মচারী। আমাদের সকল অফিস খুলে দিয়েছে। স্কুলেও কিছু কাজ থাকে, একাডেমিক কাজ থাকে। শিক্ষকরা আসতেই পারেন, অফিসাররা আসতেই পারেন।”
মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষার সম্ভাবনা কমে আসছে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা ১৬ মার্চ পর্যন্ত ৩০-৩৫ শতাংশ পাঠ পরিকল্পনা শেষ করতে পেরেছি। রেডিও, টেলিভিশন, সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমাদের মেইন টার্গেট হল, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মিনিমাম একটা লার্নিং কমপিটিন্সি লাগে, এটা যাতে প্রতিটি শিশু অর্জন করতে পারে। সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। পরীক্ষা বা মূল্যায়ন না।
তিনি বলেন স্কুলের শিক্ষকই বলতে পারবে বাচ্চারা সঠিকভাবে লার্নিং কমপিটিন্সি অর্জন করতে পেরেছে কিনা, সেট নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা একটা টুলস তৈরি করে পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়ার জন্য।
অটোপাস দেয়া হবে কি না- সে প্রশ্নে সচিব বলেন, “আমাদের ধীরে ধীরে স্পেস কমে যাচ্ছে। সেটা হতেই পারে, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। আমরা নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করি। ১ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের একটা পাঠ পরিকল্পনা আছে। যদি স্কুল খুলতে পারি তাহলে সে অনুযায়ী চলবে। যদি স্কুল না খুলে, শেষ অপশন যদি ব্যবহার করতে না পারি তাহলে বুঝতেই পারছেন কী হবে...।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।