অষ্টম শ্রেণি পাস করেই অর্থের অভাবে কাজে শুরু করেন দিনাজপুরের ফারুক। পরে হন ট্রাকচালক। কিন্তু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বেদনা তাকে কষ্ট দিত সব সময়। তাই অন্যকে শিক্ষার সুযোগ দিয়ে সেই কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করেন। নিজের আয়ের ২৫ শতাংশ ব্যয় করেন অসহায়, দুঃস্থ ও শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য। নিজ বাড়ির আঙিনায় পরিচালনা করছেন বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর তিনি পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পদক।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তার হাতে এ পদক তুলে দেবেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে সারা দেশে শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী হিসেবে তিনি এ সম্মান অর্জন করেছেন।
দিনাজপুরের সদর উপজেলার কাশিমপুর (মালিপুকুর) গ্রামে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মার্চ তার জন্ম। চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ খিষ্টাব্দে করেন অষ্টম শ্রেণি পাস। এরপর শহরের পুলহাট বিএডিসি’র বীজ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রে বস্তা টানার কাজ করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে মাস্টাররোলে বিএডিসির ট্রাক সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বিএডিসি’র রংপুর যুগ্ম-পরিচালকের দপ্তরের ট্রাক সহকারী হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পান।
পদক পাওয়ার বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ফারুককে চিঠি দিয়ে জানায়। তিনি বলেন, কখনও কল্পনা করতে পারিনি এমন সম্মান আমি পাব। কিছু পাওয়ার আশায় এই কাজ করিনি। তবে এ সম্মান আমাকে আরও উৎসাহিত করবে।