একাধিক পেশাজীবী শ্রেণীর চিকিৎসা সেবায় নিজস্ব হাসপাতাল থাকলেও সবচেয়ে বড় শিক্ষা পরিবার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য নেই সে ধরনের কোন বিশেষ ব্যবস্থা। তবে দীর্ঘদিন সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল করার দাবিতে এবার কাজ শুরু করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও ‘প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার হাসপাতাল’ নাম প্রস্তাব করে উদ্যোগ বাস্তবায়নে কৌশল নির্ধারনের জন্য ৩২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
কমিটির প্রধান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে মোঃ ফসিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, আসলে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার বিশাল। মাঠ পর্যায় থেকে সব সময়েই এমন একটি দাবি ছিল। এখন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যদের জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল। যেখানে অন্যরাও যাতে চিকিৎসা নিতে পারেন। আমরা মনে করি এটি অত্যন্ত একটি ভাল ও যৌক্তিক বিষয়। আমরা ইতিবাচকভাবে নিয়ে ইতোমধ্যেই কমিটি গঠন করেছি। কিভাবে হাসপাতাল করা যায় তা নির্ধারণ করা হবে। অন্যরা কিভাবে হাসপাতাল করেছেন তাও বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার নিজেরাই এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পরি কিনা তাও দেখবো আমরা।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের চিকিৎসা সেবায় হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগে ইতোমধ্যেই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন সকল কর্মকর্তা। এজন্য ‘প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার হাসপাতাল’ নামকরণের প্রস্তাবও করা হয়েছে। অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রধান করে ৩২ সদস্যের একটি মূল কমিটি গঠন করা হয়েছে চলতি সপ্তাহেই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেনের সম্মতিতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।