প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর শিক্ষাকাল দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত। একজন মানবসন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই শিখতে শুরু করে। তবে জন্মের পর থেকে ১০ বছর বয়সে পৌঁছানো পর্যন্ত সময়ই শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ বয়সেই শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ, সৃজনশীলতা, অনুসন্ধিৎসা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিভা বিকশিত হয়। সুতরাং এই বয়স থেকেই একজন শিশুকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চায় অভ্যস্ত করা জরুরি। এ সম্পর্কে তিব্বতীয় নেতা দালাইলামার উক্তি প্রণিধানযোগ্য, ‘When educating the minds of our youths, we must not forget to educate their hearts.’। বুধবার (২২ জানুয়ারি) ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, শিশুর নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বীজ প্রোথিত হয় পরিবারে; তা বিকশিত হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর তার চর্চা হয় সমাজে। তাই সার্বিক নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা প্রক্রিয়ায় পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষার প্রথম ও অন্যতম প্রধান উৎস শিশুর বাবা-মা ও অভিভাবকরা। তারা যদি সৎ, চরিত্রবান হন এবং মার্জিত আচরণের অধিকারী হন তাহলে সন্তানের নৈতিক দিক স্বাভাবিকভাবেই সুগঠিত হবে। পরবর্তী সময় শিশুরা যে ধাপে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চা করে তা হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্গত নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা। শিক্ষাজীবনই মূলত নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অনুশীলন ও চর্চার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমাদের দেশে শিক্ষার স্তরবিন্যাস হলো প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকালই শিশুদের মানবিক চরিত্র গঠনে সর্বোচ্চ সহায়ক। কেননা শিশুদের মধ্যে নৈতিকতার যথাযথ বিকাশ হলে তা পরিণত বয়সে যথেষ্ট কার্যকর হবে। কিন্তু নৈতিকতা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে। আর এক্ষেত্রে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় সবচেয়ে বেশি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নৈতিক চরিত্র গঠনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার কোনো বিকল্প নেই। জীবনের শুরুতেই শিশুদের মননে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বীজ বপন করলে তা এক সময় মহিরুহে পরিণত হতে বাধ্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। তাই প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা ও চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা যেসব পরিবর্তন আনতে পারে সেগুলো নিম্নরূপ :
প্রাথমিক শিক্ষায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্তকরণ ও চর্চা করানোর মাধ্যমে শিশুর চিন্তাগুলোকে সঠিক ধারায় প্রবাহিত করার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পূর্ণতা পাবে। প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা নৈতিকতায় আলোকিত হলে সমগ্র বাংলাদেশই আলোকিত হবে। কেননা শিশুরাই আগামী দিনে জাতির কর্ণধার। তাদের হাতেই থাকবে আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব।
শিক্ষার সঙ্গে মনুষ্যত্বের সম্পর্ক নিবিড়। শিক্ষাই মানুষের সার্বিক বিকাশের পথ সুগম করে। আর নৈতিকতা শিক্ষা ছাড়া এ মনুষ্যত্ব অর্জন অসম্ভব। শিশুদের সৃজনশীল মনে বাল্যকাল থেকেই সঠিক-ভুল এবং ভালো-মন্দের ধারণা প্রোথিত করা জরুরি। কেননা শিশুদের মধ্যে সঠিক বোধোদয় হলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনব্যাপী তারা এর চর্চা অব্যাহত রাখবে।
সংবেদনশীল শিশুরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের নানা অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বাল্যকাল থেকেই সোচ্চার হতে শিখবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষাদানের মাধ্যমে নিজেদেরও নীতিবোধের আলোকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে পারবেন। প্রকৃতিলব্ধ জ্ঞানের সঙ্গে অর্জিত জ্ঞানের সুসমন্বয়ই নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের ভিত্তি। এ সমন্বয় সাধিত না হলে শিক্ষার সঠিক দিক শিক্ষার্থীদের কাছে উন্মুক্ত হবে না।
প্রাথমিক শিক্ষায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব প্রদান না করলে পরবর্তী সময় একজন ব্যক্তিকে যতই শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হোক না কেন, তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তা চর্চায় আগ্রহী হবেন না। নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণেই বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার উদ্ভব হয়। প্রাথমিক শিক্ষায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব না দিলে সামাজিক সমস্যাগুলো বাড়তেই থাকে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিশুরা বড় হয়ে বিভিন্ন অপরাধ, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে। আজকের শিশু ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হবে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।

সুপারিশসমূহ :
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষার প্রসারে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে প্রাথমিক শিক্ষায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা পাঠ্যক্রম হিসেবে রাখতে হবে এবং বিভিন্ন গঠনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের তা শেখাতে হবে।

প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘চাইল্ড ইনটেগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরাম’ প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের সৃজনশীল উপায়ে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে জেলা পর্যায়ে ‘শিশু সাংবাদিক ফোরাম’ এর মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সাংবাদিকতা, জ্ঞানচর্চা ও মূল্যবোধের অনুশীলন বাড়ানো যেতে পারে। জেলা প্রশাসন, খুলনার উদ্যোগে ইতোমধ্যে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং শিশুদের বিকাশে তা অত্যন্ত কার্যকরী ভ‚মিকা পালন করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে বাল্যকাল থেকেই পজিটিভ মনোভাব অনুপ্রবেশ করাতে হবে। নিঃসংকোচে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা শিখাতে হবে।

শিশুদের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানোর জন্য তাদের পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য মহামানবদের সম্পর্কে জানাতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৈতিকতা সম্পর্কে জানানোর মাধ্যমে তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুকে অন্যতম আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণকল্পে ইন্টারনেটের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে শিশুদের যথার্থ শিক্ষাদান করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমগুলো নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও তথ্যাদি নিয়মিত প্রচার ও প্রসার করতে পারে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং বাড়িতে বাচ্চাদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা বাড়াতে হবে যেন শিশুরা প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং স্ব-স্ব ধর্মের চর্চার প্রতি আগ্রহী হয়। কেননা প্রতিটি ধর্মেই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষাদানের পাশাপাশি পরিবারেও অভিভাবকদের মধ্যে নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে। নিজে দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে সন্তানকে নীতিবান হিসেবে গড়ে তোলা যায় না।

সর্বোপরি শিশুদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরই অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে। কেননা প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের বয়স কম হওয়ায় শিক্ষকদের দ্বারাই শিশুরা সর্বাধিক অনুপ্রাণিত হয় এবং তাদের অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তাই একজন নীতিবান, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ শিক্ষক হাজারো শিশুদের নৈতিকতার আলোয় আলোকিত করতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। আর শিশুদের ওপরই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের ভালোবাসতেন এবং শিশুদের উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় এবং একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ (Sustainable Development Goals)-এর অভীষ্ট-০৪ (এড়ধষ-০৪) এ শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও শিক্ষার মানোন্নয়নে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তিই রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে।

তাই প্রাথমিক পর্যায়ে যথার্থ শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুদের সার্বিক দিক দিয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এক্ষেত্রে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে পারিবারিক পর্যায়ে যেমন অভিভাবকের যথার্থ ভ‚মিকা পালন করতে হবে, একই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে শিক্ষকদের সর্বাধিক গুরুত্ববহ ও অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে। ‘ঠরংরড়হ ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে আমরা উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও মডেল অনুসরণ করি এবং আমাদের কর্মপরিকল্পনাতেও সেগুলো অন্তর্ভুক্তকরণের কথা বলি। অথচ উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বহু আগে থেকেই শিশুদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চায় বিভিন্ন কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে যাচ্ছে।

নৈতিকতা চর্চার গুরুত্ব অনুধাবন করে অনেকদিন ধরেই জাপানের স্কুলগুলোতে সপ্তাহে কমপক্ষে এক ঘণ্টা নৈতিকতা শিক্ষার জন্য বরাদ্দ রাখা হয় এবং ২০১৮ সাল থেকে প্রাথমিক ও জুনিয়র স্কুলগুলোতে নৈতিক শিক্ষাকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয় হিসেবে কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশেও এরূপ বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। এসব বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রশাসন, খুলনার উদ্যোগে ‘চাইল্ড ইনটেগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরাম’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যেন শৈশব থেকেই শিশুদের মধ্যে সততা, নৈতিকতা, মানবিকতা, মূল্যবোধ এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা চর্চার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয় এবং পরিণত বয়সে যেন তারা প্রকৃত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। যেহেতু আজকের শিশুরাই আগামী দিনের সোনার বাংলার রূপকার; তাই এ প্রজন্মের হাত ধরেই আসবে আমাদের স্বপ্নের সোনালি প্রভাত। আর সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিশুদের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

লেখক: মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, জেলা প্রশাসক, খুলনা।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042719841003418