প্রাথমিক শিক্ষায় উন্নত করতে হবে পাঠদান - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষায় উন্নত করতে হবে পাঠদান

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

একটি দেশের উন্নত মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী বারংবার প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে শুধু সংখ্যা বাড়ানো নয়, বরং মানসম্পন্ন শিক্ষার্থী তৈরির নির্দেশ দিচ্ছেন। সুযোগসন্ধানী একটি গ্রুপ অবশ্য নয়-ছয় করে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুযোগ যাতে কম থাকে, সেদিকে তৎপর থাকে। এদিকে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে স্কুলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশও সুন্দর রাখা আবশ্যক। সম্প্রতি একনেকের সভায় ১১৫৯.২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার প্রাথমিক স্কুল এবং পূর্বাচলের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নয়টি প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬১১.৬২ কোটি টাকা। দেশের সরকারী প্রাইমারী স্কুলগুলোতে অবকাঠামোগত মান উন্নয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। দেশে অনেক বেশি সংখ্যক স্কুলে উন্নত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে ছোট শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খেলাধুলা, নৈতিকতার চর্চার প্রসার ঘটানো। পাশাপাশি শিশুরা যাতে তাদের মন-মানসিকতায় উন্নততর পরিবেশ পায়, দেশ ও জাতির ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে বেড়ে ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। প্রতি বছর আনন্দঘন পরিবেশে স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গত এগারো বছর ধরে করে চলেছে সরকার। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশে প্রতিটি শিক্ষার্থী আশা করে থাকে যথাসময়ে নতুন বইয়ের। সে বইগুলোর সৌরভ শিক্ষার্থীকে মুগ্ধ করে শিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করে থাকে। তবে শিক্ষার উন্নত মানের কোন বিকল্প নেই। প্রি-প্রাইমারী থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত আলাদা করে দেয়া উচিত। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, সরকার কর্তৃক স্থাপিত জাতীয় ছাত্র মূল্যায়ন (ঘঝঅ) তাদের তথ্যে দেখেছে যে, তৃতীয় শ্রেণীর ৬৬% ছাত্রছাত্রী এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ৬৭% ছাত্রছাত্রী গণিতে আশানুরূপ উৎকর্ষ অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। মাতৃভাষা বাংলার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, ৫৩% ছাত্রছাত্রী তৃতীয় শ্রেণীতে এবং ৫৬% ছাত্রছাত্রী পঞ্চম শ্রেণীতে আশানুরূপ উৎকর্ষ অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। যা প্রাইমারী শিক্ষা অধিদফতরের গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত এনএসএ-২০১৭তে প্রাপ্ত ফল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এদেশে কোনদিনও সরকারী প্রাইমারী স্কুলে পাঠদান করেননি কিংবা গবেষণা করতে যাননি কিংবা স্কুলের চৌহদ্দিতে গেলেও হয়ত প্রধান অতিথি/বিশেষ অতিথির পদ অলঙ্কৃত করে বিশেষজ্ঞ সেজে অনেকে বক্তব্য দেন। যার ফলে আসলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় হ-য-ব-র-ল সৃষ্টি হয়। এ ধরনের অপসংস্কৃতির ফলে আসলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত না হয়ে বরং অবনতি ঘটে থাকে। সম্প্রতি সরকারপ্রধান যথার্থ অর্থেই তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোন পরীক্ষা নয় বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেটিকে সাধুবাদ জানাই। যে জরিপটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর পরিচালনা করেছিল, তাতে ১ হাজার ৪১৭টি স্কুলের ২৮ হাজার ৪০২ জন ছাত্রছাত্রী এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ১ হাজার ৪৪৬টি স্কুলের ২৪ হাজার ১৪৫ জন ছাত্রছাত্রী ২০১৮তে অংশ নেয়। বাংলা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করা এবং বানান করার ক্ষেত্রে তাদের উৎকর্ষ অর্জন। আসলে বাংলা ভাষার যে বই বর্তমানে শিশুদের জন্য পাঠ্য, তা তেমন আকর্ষণীয় নয়। বরং বই হয়ে উঠেছে শিশুদের কাছে বোঝাস্বরূপ। পাশাপাশি যারা শিক্ষক তাদের মান-মর্যাদাও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও খুব বেশি বাড়াতে দেয়নি একটি চক্র। এদিকে গণিতের ক্ষেত্রেও বৈশিষ্ট্য সংখ্যা, ধারণা, পরিমাপের একক ইত্যাদিতে দুর্বলতা রয়েছে। যারা অধ্যয়ন করছে, তাদের সম্পর্কে জরিপে বলা হয়, তারা তাদের শিক্ষার প্রারম্ভিক স্তরে রয়েছে। তারা যথোপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে অক্ষম হয়েছে। তাদের দক্ষতা পাঠক্রম অনুযায়ী নিম্নতর পর্যায়ে রয়েছে। এনএসএ-এর জরিপ অনুসারে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৩৮ শতাংশের দক্ষতা রয়েছে এবং ৯ শতাংশের উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা আছে। এদিকে পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জরিপে প্রাপ্ত ফল অনুসারে ৩৬ শতাংশ বাংলায় দক্ষতা আছে এবং ৮ শতাংশের উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা রয়েছে। গণিতের ক্ষেত্রে অবস্থা মোটেও ভাল নয়। কেবল ২৫ শতাংশের তৃতীয় শ্রেণীর গণিতে দক্ষতা আছে এবং ৯ শতাংশের উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা আছে। অন্যদিকে পঞ্চম শ্রেণীতে ২৪ শতাংশের মৌলিক উৎকর্ষ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আছে এবং ৮ শতাংশের কেবল উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা রয়েছে। সরকারী জরিপ থেকে বেরিয়ে এসেছে, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মানও উন্নত নয় এবং তাদের পাঠ ও পঠনের মধ্যে তারতম্য রয়েছে।

ডিপিইএর তথ্য অনুসারে ১,৩৪, ১৪৭টি প্রাথমিক স্কুলে ১.৭৩ কোটি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন ঠিকমতো ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করেন না, অনেকে বাসায় থেকে দায়িত্ব সারেন। তারা পাঠ্যক্রম ছাড়া অন্যত্র এমন সব কাজ করেন, এমনকি বদলি শিক্ষক রাখেন, যাতে তাদের পক্ষে ভালভাবে শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব নয়। অথচ প্রাথমিকে শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে নামকরা প্রাথমিক শিক্ষকরাই তাদের মান উন্নয়নের পদ্ধতি নিরূপণ করতে পারেন, বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া কেউ নয়। অনেকে মনে করে, ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না। তেমনি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, যারা শিক্ষা প্রদানের সঙ্গে জড়িত, তারা অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় পর্যায়ের তথাকথিত গণমান্য ও ক্ষমতাশালী সরকারী-বেসরকারী, আমলা-মাতব্বর, এনজিও কর্মী এবং ভুঁইফোঁড় কর্তৃক নানাভাবে নিগৃহীত হন। যার দরুন অনেক দায়সারা গোছের পাঠদান প্রদানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থা অবশ্যই সমাজেরই অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণ। আবার প্রাইমারী স্কুলের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা স্বল্প বেতনের দোহাই দিয়ে ঠিকমতো পাঠ ও পঠনের ব্যবস্থা করেন না। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবশেষে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের নতুন বেতন স্কেল ২০২০ বাস্তবায়িত হলে একজন সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল হবে ১২তম গ্রেড (মূল ১১ হাজার ৩০০ বাংলাদেশী টাকা) এবং প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল হবে ১০ম গ্রেড (মূল ১৬ হাজার বাংলাদেশী টাকা)। ২০১৫ সালের বেতনক্রম অনুসারে প্রধান শিক্ষকের বেতনক্রম ছিল ১২তম গ্রেড, যার মূল ছিল ১১ হাজার ৩০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকের বেতনক্রম ছিল ১৫তম গ্রেড, যার মূল হচ্ছে ৯ হাজার ৭০০ বাংলাদেশী টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতনক্রম বৃদ্ধির জন্য সরকারপ্র্রধান বারংবার নির্দেশ দিলেও একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনক্রম যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে তৎপরতা পরিচালনা করে যাচ্ছে। নতুন বেতনক্রম যখন চালু হবে, তখন সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ চালুর প্রস্তাব রয়েছে, এটি অত্যন্ত যৌক্তিক। একজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ঢুকেই ভাল শিক্ষক হতে পারেন না। তবে ইদানীং দেখা যাচ্ছে নতুনরা ঢুকেই সিনিয়রদের কেবল অবজ্ঞা করে না, তাচ্ছিল্যও করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের উন্নততর শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে একজন শিক্ষককে স্বীয় কর্তব্য গড়ে তুলতে হয়। কেননা আধুনিক চিন্তা-চেতনাপুষ্ট শিক্ষা পদ্ধতি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন উন্নত বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায় যে, প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি উচ্চতর শ্রেণীতে পাঠকদানকারীদের প্রায় সমান। সেখানে অবশ্য কেউ চটজলদি করে শিক্ষক হতে পারেন না কিংবা সময় ক্ষেপণ করার জন্য যে কেউ শিক্ষক হন না। বর্তমানে ১৮ হাজার ৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ শূন্য রয়েছে, যা অতি সত্বর পূরণ করা দরকার। জাতীয় কারিকুলাম এবং পাঠ্যবই বোর্ডের কার্যক্রম ঢেলে সাজানো দরকার। সরকার যে ডিজিটালাইজেশন প্রসেস চালু করেছে তার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য গিয়ে দেখেছি যে, কম্পিউটার শিক্ষক, চিত্রকলা শিক্ষক এবং শরীরচর্চার শিক্ষকের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষার চর্চা, ইংরেজী ভাষার চর্চা এবং গণিত চর্চার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা প্রয়োজন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যেও ছোট ছেলেমেয়েদের আধুনিক চিন্তা-চেতনাযুক্ত পাঠদান করার উদগ্র ইচ্ছা থাকা দরকার। পঞ্চম শ্রেণীতে বর্তমানে যে প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা রয়েছে তা রহিত করা প্রয়োজন। ছোট বয়সে পরীক্ষা দেয়ার ভয়ে অনেক কোমলমতি ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা ভীতিতে আক্রান্ত হচ্ছে। অভিভাবক-অভিভাবিকারা প্রশ্ন ফাঁসের অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ আরেক দল কোচিং বাণিজ্য শুরু করেছেন। ফলে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের বদলে সরকারের আগ্রহ সত্ত্বে¡ও অনেকেই নিম্নমানের শিক্ষা পাচ্ছে। এমনকি স্কুল কুলিংও হচ্ছে। পরিবার থেকে যে সামাজিক মূল্যবোধ তৈরির কথা সেটি বিনষ্ট হচ্ছে। মুক্ত শিশু না হয়ে শৃঙ্খলিত শিশু হচ্ছে। আর তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও তারকা খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষকবৃন্দ চাপিয়ে দিচ্ছে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন থেকে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এসএসসি এবং এইচএসসিতে। তেমনি পিএসসিও হয়ে উঠেছে জগদ্দল পাথর। উন্নত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমেই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণের সূচনা করতে পারে। সে জন্যই সরকারপ্রধান বার বার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের মর্যাদা দিতে বদ্ধপরিকর। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নও করা হচ্ছে। তবে সুন্দর শৈশব কেড়ে নেয়া হচ্ছে কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষিকার পরামর্শে। শিক্ষকদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বেশি। একনেকের সাম্প্রতিক সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষার সংখ্যা কমানোর ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি হাওড় অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো তৈরির সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দেন। তার এ নির্দেশ অত্যন্ত সময়োপযোগী। প্রাথমিক শিক্ষা যেহেতু আমাদের মূল ভিত্তি ভূমি, সে জন্য প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। পৃথক গবেষণায় আমরা দেখেছি যে প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভালভাবে তাদের পাঠক্রম ও কর্তব্যজ্ঞান সম্পর্কে সচেতন নন। আবার বইগুলো মোটেও শিশুতোষ নয়। বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞতায় কেবল পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই প্রশ্নমালা প্রণয়ন করা হয়। ক্লাসে ঠিকমতো পাঠদান করা হয় না। অভিজ্ঞ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। বদলি শিক্ষক ক্লাস নেন। অন্যত্র চাকরি না পেয়ে শিক্ষকতায় এসেছেন, যার সংখ্যা জরিপের ৮১% শিক্ষক-শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বোঝা দূর করতে হবে। শৈশব হতে হবে খেলতে খেলতে নীতিনৈতিকতা বজায় রেখে অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা ব্যবস্থা।

লেখক: ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ও প্রফেসর।

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013915061950684