প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার হলগুলোতে চলে দেখে দেখে লেখার মহোত্সব! তারপর খাতা দেখার সময় যত বেশি পাস করানো যায় সে চেষ্টা চালানো হয়। কোনো শিক্ষকের খাতায় বেশি ফেল করলে তাঁকে শাসানো হয় কেন এত ফেল করেছে। খাতায় কিছু থাকলেই নম্বর দেবেন, কাউকে ফেল করানো যাবে না। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে সারা বছরই কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা হয়।
এই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন একটি প্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে যে পরীক্ষা মানেই দেখে দেখে লেখা। ফলে পরবর্তী সময়ে ছেলেমেয়ের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। বাস্তবে তা-ই হচ্ছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যদি প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় দেখে লেখার সুযোগ করে দেওয়া না হয় এবং খাতা দেখার সময় অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া না হয়, তাহলে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পাস করবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি আমরা এই ভুল বুঝতে পারব এবং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেব, জাতির জন্য তত মঙ্গল হবে।
লেখক: সহকারী প্রধান শিক্ষক, ডিয়াবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,তুরাগ, ঢাকা।
সৌজন্যে: দৈনিক ইত্তেফাক