এবার পিইসি বা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে না করে স্কুলে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এমন প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে বলে আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, “পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাটা বিদ্যালয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি, আগে এটা কেন্দ্রভিত্তক নেওয়া হত। এটা না করে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে, যাতে করে জমায়েতটা বেশি না হয়, আমাদের ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত না হয়, এ রকম চিন্তাভাবনা আমরা করছি।”
একাধিক প্রস্তাবনা আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে, সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন বলেও জানানপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বলেন, পরীক্ষা না হবার কারণ নেই। পরীক্ষা হবে নিজ নিজ স্কুলে।
বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সিলেবাস শেষ করা যায়নি জানিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এজন্য আমরা বলেছিলাম প্রয়োজনে হলে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেবাস শেষ করে তখন পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে।”
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে পঞ্চমের সমাপনী উত্তীর্ণদের যে বৃত্তি দেওয়া হয়, তা এবার দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। তবে আগেই মতো প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির।
তিনি বলেন,“চার-পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যেটি অনুমোদন দেন সেভাবে হবে।” পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্যে এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অন্য বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে এই পরীক্ষা আয়োজন করে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে, তবে এরপরও স্বাভাবিক ক্লাসে ফেরার পরিবেশ হবে কি না, সে নিশ্চয়তা নেই।