প্রাথমিক শিক্ষক বদলির সব আবেদন অনলাইনে করতে হবে। আগামী বছর থেকে এ পদ্ধতি কার্যকর হবে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করতে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (এসএলআইপি) আওতায় প্রথম পর্যায়ে কুড়িগ্রাম এবং রংপুরে শুরু হচ্ছে শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি। ৩২টি সফটওয়্যার সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এতথ্য জানানো হয়।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে কাজের জবাবদিহিতা চেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ।
সভায় মন্ত্রণালয় সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এডিপি বাস্তবায়নের দিক থেকে সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চতুর্থ অবস্থানে অবস্থান করছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর একই সময়ে বাস্তবায়নের হার-এর দিক থেকেও মন্ত্রণালয় শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে। সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে বলে জানান সচিব।
সভায় জানানো হয়, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ এবং শেরপুর এই ৫টি এলাকাকে "রেড জোন" হিসেবে চিহ্নিত করে এই এলাকাসমূহের শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে।
চর, হাওড় ও পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পৌঁছানোর জন্য ওই এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষকদের অগ্রাধিকার, শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিও আলোচনা করা হয়। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর সমূহের প্রধান এবং সকল প্রকল্পের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।