প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে এ বছর মোট ৮২,৫০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার জন শিক্ষার্থী। ৪৯,৫০০ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে সাধারণ কোটার বৃত্তি।
আজ (২৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মোট ৭ হাজার ৯৮৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটিতে ৬ জন করে (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) মোট ৪৭ হাজার ৯২৮টি সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। আর অবশিষ্ট ১৫৭২টি বৃত্তি থেকে প্রতি উপজেলায় আরো ৩টি করে (১ জন ছাত্র, ১ জন ছাত্রী ও উপজেলার মেধার ভিত্তিতে ১ জন) মোট ৫১০টি উপজেলায় ১৫৩০টি সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, এখন সকল শিক্ষার্থী বৃত্তির প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। আগে কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেত। ফলে অনেকেই বঞ্চিত হতো। এখন সুযোগ বেড়েছে। তিনি জানান, ঝরে পড়া বন্ধ করা, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানো ও মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।