প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ফল চ্যালেঞ্জ করেছিল ৮৮ হাজার ৮৬৯ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২১ হাজার ৩৪৫ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ আবেদন করা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ২৪ শতাংশের ফল ভুলভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যারা পরীক্ষায় অপেক্ষাকৃত ভালো ফল পেয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যাদের ফল পরিবর্তন হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে পাস করেছে সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে সহস্রাধিক।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে এই ফল প্রকাশ করা হয়। অভিভাবক শিক্ষার্থী নিজ নিজ মোবাইল ফোনে এসএমএসে ফল জানতে পেরেছে। কিন্তু ডিপিই আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে রোববার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডিপিই মহাপরিচালক এ তথ্য প্রকাশ করেন।
এতে আরও বলা হয়, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর এক মাস ধরে মোবাইল ফোনে এসএমএস করে ৯৪ হাজার শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে। এর মধ্যে পিইসির ছিল ৮৮ হাজার ৯৬৯টি আবেদন, অন্যগুলো ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের। পুনঃনিরীক্ষায় বেশি ইংরেজি, অঙ্ক ও বিজ্ঞানের ফল পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তিত ফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির।