আইন না মেনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ১৪৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ (মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান এই রুল জারি করেন । ২০১৯ এর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে এই ফলাফল প্রকাশ হয়।
নিয়োগে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক নিয়োগে বিধিমাল অনুসরণ করা হয়নি, মানা হয়নি পুরুষ- নারী কোটা, এ ছাড়া থানা ভিত্তিক নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও তা জেলা ভিত্তিক ফল প্রকাশ করা হয়, এমন কয়েকটি অনিয়মের কারণে এই রুল জারি হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা সচিব, ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৯ এর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ এই নিয়েগের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেছেন ১৮ হাজার ১৪৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গত সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।
এদিকে, শূন্যপদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের পদায়নের আদেশ জারি করা হবে।
১২ থেকে ২০ জানুয়ারি নির্বাচিত প্রার্থীদের ডকুমেন্টস যাচাই করা হবে। ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে রেজিস্ট্রার্ড ডাক যোগে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র পাঠানো হবে। কোন প্রার্থীর নিয়োগপত্র জারি না হলে তাদের তালিকা ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
সূত্র আরও জানায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি করা হবে।