প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০টি সমস্যার কথা তুলে ধরেছে শিক্ষক নেতারা। শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে অন্তরায়সমূহ চিহ্নিতকরণ ও সমাধান শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি।
আরও পড়ুন: দুই কোটি টাকা দিলেও প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ মিলবে না: গণশিক্ষা মন্ত্রী
আলোচনা সভায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করতে হবে। কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়েছেন এটা করার জন্য অতিরিক্ত শিক্ষক প্রয়োজন হবে। এটা ঠিক নয়, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়টি তুলে ধরবো।
সভায় যে ১০টি সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় তার মধ্যে রয়েছে- ৯/৩/১৪ থেকে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত প্রাপ্য টাইম স্কেল বাস্তবায়ন, প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাস্তবায়ন, পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাস্তবায়ন, প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি বাস্তবায়ন, সেল্ফ ড্রয়িং ক্ষমতা বাস্তবায়ন, ১০ বছর পূর্তির গ্রেড বাস্তবায়ন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব উচ্চতর পদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ দান, প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত বাস্তবায়ন, দৈনিক টিফিন ভাতা বৃদ্ধিকরণ ও সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস চালুকরণ।
আরও পড়ুন: নতুন করে আর প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ হচ্ছে না: গণশিক্ষা মন্ত্রী
প্রধান আলোচক মো. দেলোয়ার হোসেন কুসুম বলেন, আমরা গৌরব ফিরিয়ে আনি, এসব দাবি বাস্তবায়ন করি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নীত গ্রেডের সুবিধা প্রাপ্তির পথে অনেক অনেক অন্তরায় সৃষ্টি করেছিলেন। সকল বাধা অতিক্রম করে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি।
তিনি বলেন, নানা কৌশলে যারা বিরোধিতা করেছিলেন এবং যাদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে কাজ করতে হয়েছে তাদের সু-বুদ্ধির উদয় হোক। আগামী দিনগুলোতে প্রধান শিক্ষকদের যে কোনো সমস্যায় আমরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবো।
সমিতির সভাপতি বদরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক নেতা মো. আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।