শিক্ষকদের ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির সুযোগ বহাল রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান পরিষদের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিকের বিদ্যমান বদলি নীতিমালায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষকদের পদোন্নতির অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে শিক্ষকদের ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা। বিদ্যমান নীতিমালায় শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলাকে একক ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার মোট পদের সর্বাধিক ১০ শতাংশ পদে বাইরে থেকে শিক্ষক বদলি করে আনা যাবে বলেও বলা হয় বদলি নীতিমালায়। এর ফলে শহরের বাইরে থেকে অনেক শিক্ষক রাজধানীতে বদলি হয়ে এসেছেন। তাই, পদোন্নতির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেনা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষকরা।
বিবৃতি আরও বলা হয়, একক ইউনিট বিবেচনা করে শিক্ষকদের বদলি করা হয়। তাই বাইরে থেকে শিক্ষক বদলি হয়ে আসায় ঢাকার শিক্ষকদের বদলির সুযোগ নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৩০ জন শিক্ষকের বদলি স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষকদের পোষ্যরা নিয়োগে শূন্যপদের প্রেক্ষিতে ১০ শতাংশ কোটা পান। বাইরে থেকে শিক্ষক বদলি হয়ে আসায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সরকারি প্রাথমিকের শূন্যপদগুলো পূরণ হয়ে যাচ্ছে। তাই, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষকদের পোষ্যরা শূন্যপদের প্রেক্ষিতে ১০ শতাংশ কোটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ প্রেক্ষিতে শূন্যপদের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের ১০ শতাংশ পোষ্যকোটা এবং শিক্ষকদের ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির অধিকার বহাল রেখে প্রাথমিকের বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান।