অধিগ্রহণকৃত ১৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৫জন সহকারী শিক্ষকের জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ ছয় মাস সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সহকারী শিক্ষকদের সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তিনটি পৃথক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ২(গ) অনুসারে সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আত্তীকরণের পূর্বের চাকরিকাল ৫০শতাংশ গণনা করার বিধান থাকলেও সম্বলিত জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরির সময় ওই বিধি না মেনে জ্যেষ্ঠতার তালিকা করা হয়েছে। বিধিমালার ৯(১) ধারায়, আগের নিয়োগ বিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্তদের নিচে অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হবে বলে উল্লেখ রয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ফলে ১৮৫ জনের জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ সংরক্ষিত রাখতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিধিমালার ৯(১) ধারা কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। একইসঙ্গে ওই সহকারী শিক্ষকদের সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ’
অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ বিধিমালার ৯(১) ধারায়, আগের নিয়োগ বিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্তদের নিচে অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হবে বলে উল্লেখ আছে। এ বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৫ জন সহকারী শিক্ষক তিনটি পৃথক রিট আবেদন দায়ের করেছেন।